কৃষ্ণ সাগরের বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি ফের শুরুর জন্য চুক্তি সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেইন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চুক্তিটি পুরোপুরি কার্যকর হবে এবং শস্যের চালান যাওয়া শুরু হবে বলে আশা করছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া এবং ইউক্রেইনের সঙ্গে চুক্তিটি সই করেছে তুরস্ক এবং জাতিসংঘ।
এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক খাদ্য সংকটের সুরাহা হওয়ার আশা জেগে উঠেছে। তুরস্ক এ চুক্তিকে “বিশ্বে বর্তমান খাদ্য সংকট সমাধানের পথে প্রথম ধাপ বলে বর্ণনা করেছে।”
জাতিসংঘের দুইজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শুক্রবার বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শস্য রপ্তানি শুরু হয়ে গেলে মাসে ৫০ লাখ টন চালান যাবে, যুদ্ধ-পূর্ববর্তী সময়ে যেমনটি হত।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা খুব দ্রুতই চুক্তিটি বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় আছি। শনিবার আমরা একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র (জেসিসি) প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করব। এরপর শস্য রপ্তানি পুরোপুরি শুরুর আগে ছোটখাট কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করা বাকি থাকবে।”
“জাহাজ ঠিকমত যাওয়া-আসা করতে পারছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য আমাদের কয়েক সপ্তাহ লাগবে। যদিও সব ব্যবস্থা ঠিকঠাক আছে কিনা তা দেখার জন্য প্রাথমিকভাবে জাহাজ চলাচল শুরুও হতে পারে।”
পরিকল্পনা মোতবেক, ইউক্রেইনের কর্মকর্তারা জাহাজগুলোকে নিরাপদ চ্যানেলের মধ্য দিয়ে গাইড করে নিয়ে যাবেন তিনটি বন্দরে। এর মধ্যে আছে প্রধান বন্দর ওদেসা। সেখানে জাহাজগুলোতে শস্য তোলা হবে।
এরপর জাহাজগুলো কৃষ্ন সাগরে ইউক্রেইনের ভূখন্ড ছেড়ে বসফরাস প্রণালী ট্রানজিট দিয়ে তুরস্কের বন্দরে যাবে। সেখানে জাহাজে তল্লাশির পর সেটি গন্তব্যের পথে যাবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থায় শস্য রপ্তানি প্রাথমিকভাবে ১২০ দিনের জন্য চলবে। এরপর চুক্তি নবায়ন করতে হবে।
“পুরোদস্তুর যুদ্ধের মধ্যে থাকা দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে এই ধরনের একটি চুক্তি করতে পেরেছে… সেটি নজিরবিহীন” বলেই মন্তব্য করেছেন এক কর্মকর্তা।