ইউক্রেইন বলেছে, পূর্বাঞ্চলে বাখমুত নগরীর যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়া বাহিনী কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে তাদের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু জীবনের মূল্যে এসেছে এ অর্জন।
ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট খনির নগরী বাখমুত। কয়েক মাস ধরে রাশিয়া বাহিনীর আক্রমণের প্রধান নিশানা এই নগরী। চলমান যুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপে সবচেয়ে দীর্ঘ ও রক্তাক্ত লড়াইক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বাখমুত।
এ নগরীর লড়াইয়ে প্রায় ৫ মাস ধরে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে থেকে লড়ে এসেছে ইউক্রেইন বাহিনী। তবে তারা খুব শিগগিরই রাশিয়া বাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার গতরাতের খবর জানিয়ে ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, “বাখমুতে হামলার ক্ষেত্রে শত্রুপক্ষ তাদের তৎপরতায় কিছু মাত্রায় সফলতা পেয়েছে।” তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
স্টাডি অব ওয়ার থিংট ট্যাংক ইন্সটিটিউট বলেছে, রুশ সেনারা এবং ভাড়াটে রুশ সেনাদের ওয়াগনার বাহিনী গত দুই দিনে বাখমুতের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের ভূখন্ড দখল করেছে। তাছাড়া, এ সপ্তাহে নগরীর উত্তরে একটি মেটাল প্ল্যান্টও ওয়াগনার বাহিনী দখল করেছে।
রাশিয়া বাহিনী কয়েক সপ্তাহ ধরে বাখমুতের ভেতরে রাস্তায় রাস্তায় তুমুল লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। একমাস আগে ইউক্রেইন বাহিনী নগরীটি ছেড়ে যেতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।
কিন্তু পরে ইউক্রেইনের সেনারা সেখানে থেকে যাওয়া এবং লড়াই করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল হামলাকারী বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে দেওয়া।
ইউক্রেইনের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালায়ার স্যোশাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বলেছেন, বাখমুতের লড়াইয়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো অসম্ভব। তবে শত্রুপক্ষে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে আরও অনেক গুণ বেশি।