সোমালিল্যান্ডে বিক্ষোভকারী-নিরাপত্তা বাহিনী সংঘর্ষে নিহত ২০

সোমালিল্যান্ড ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে এখন পর্যন্ত খুব বেশি দেশের স্বীকৃতি পায়নি। অঞ্চলটি তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ, অন্যদিকে সোমালিয়া গত তিন দশক ধরে গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2023, 04:52 AM
Updated : 2 Jan 2023, 04:52 AM

সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অঞ্চল সোমালিল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকদিনের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের পূর্ব অংশে অবস্থিত লাসকানুদে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের লড়াই চলছে।

লাসকানুদ সুল অঞ্চলের প্রশাসনিক রাজধানী। অঞ্চলটি নিয়ে সোমালিল্যান্ড ও পার্শ্ববর্তী পুন্টল্যান্ডের মধ্যে বিরোধ আছে। পুন্টল্যান্ড সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।

সরকারি লাসকানুদ হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ ফারাহ জানান, কয়েকদিনের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছে। হাসপাতালে নিহত অনেকের লাশ দেখার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

বিক্ষোভকারীরা শহরটির নিয়ন্ত্রণ পুন্টল্যান্ডের হাতে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। তারা বলছে, সোমালিল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনী শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে।

“সোমালিল্যান্ড জোর করে লাসকানুদ দখল করেছে, তারা এর নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ হয়েছে। আমরা দাবি করছি, তারা চলে যাক। নিয়মিত বেসামরিক লোকজনের রক্ত সহ্য করতে পারছি না আমরা,” বলেছেন বিক্ষোভকারীদের মুখপাত্র আদান জামাক ওগলে।

এ বিষয়ে রয়টার্স সোমালিল্যান্ড পুলিশের মুখপাত্রের মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার দিক থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।

সোমালিল্যান্ড ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে এখন পর্যন্ত খুব বেশি দেশের স্বীকৃতি পায়নি। অঞ্চলটি তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ, অন্যদিকে সোমালিয়া গত তিন দশক ধরে গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত।

পুন্টল্যান্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ এলমি ওসমান কারাশ সহিংসতার জন্য সোমালিল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনীকে দুষছেন।

“সোমালিল্যান্ডের সেনাবাহিনী যা করেছে, তা হচ্ছে বেসামরিকদের নির্বিচারে হত্যা,” ফোনে এমনটাই বলেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মন্তব্যের জন্য রয়টার্স সোমালিল্যান্ড সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কমান্ডার মাহাদ আমবাশি এলমিকে ফোন করলেও তিনি তা ধরেননি।

সোমালিল্যান্ডের তথ্যমন্ত্রী সালিবান আলি কুরে শনিবার আন্দোলনকারীদের প্রতি বিক্ষোভ বন্ধ করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।