ইউক্রেইন বাহিনী দেশের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলে সোলেদার শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কা।
রাশিয়া সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার যে দাবি করেছিল তার ঠিক বিপরীত দাবি করলেন কিরিলেঙ্কো।
শনিবার দোনেৎস্ক এর এই গভর্নর বলেন, শহরটির পরিস্থিতি কঠিন এবং রাশিয়ার সেনারা বহুদিক থেকে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের পক্ষে অনেকে হতাহত হয়েছে, এর মধ্যে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের সদস্যরাও আছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে কিরিলেঙ্কা বলেন, “সোলেদার আমাদের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও রাস্তায় রাস্তায় এবং শহরের বাইরেও লড়াই চলছে। কারণ, শত্রুপক্ষ কয়েকদিক থেকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে।”
তবে কিরিলেঙ্কোর এই দাবি যাচাই করে দেখতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউক্রেইন যুদ্ধে কয়েকদিন ধরেই ছোট্ট লবণখনির শহর সোলেদার রাশিয়ার হামলার নিশানা হয়ে আছে।
সোলেদার রুশ বাহিনীর দখলে চলে এসেছে বলেও প্রথমে দাবি করে ওয়াগনার গ্রুপ এবং পরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ও একই দাবি করে। রাশিয়ার এই দাবির পরই কিরিলেঙ্কা শহরটির দখল এখনও ইউক্রেইনীয় বাহিনীর হাতে বলে জানালেন।
তিনি বলেন, “যুদ্ধের সম্মুখসারিতে অনবরত গোলা হামলা চলছে। ইউক্রেইনের সামরিক কমান্ড পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা, ক্ষয়ক্ষতি কম করা এবং আমাদের ছেলেদের জীবন রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে।”
সোলেদারে এখনও প্রায় ৫৫০ জন অধিবাসী আছে বলে জানান তিনি। যুদ্ধের আগে শহরটিতে ১০ হাজার মানুষের বাস ছিল।