ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ ব্যবহার করে কেন্দ্রটিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পারমাণবিক কেন্দ্রটির রুশ কর্তৃপক্ষের।
Published : 08 Apr 2024, 02:36 PM
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় ইউক্রেইনের রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত জাপোরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম এক্স এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে আইএইএ বলেছে, “হামলা সত্ত্বেও স্থাপনাটির পারমাণবিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েনি। তবে গুরুতর এই ঘটনায় পারমাণবিক চুল্লির নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ধারাবাহিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারতো।”
আইএইএর মহাসচিব রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, এ ড্রোন হামলার সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পারমাণবিক চুল্লিটির প্রধান নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে সরাসরি তিনটি আঘাত হানা হয়। এ হামলায় একজন নিহত হয়।
গ্রসি বলেন, “এটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সুরক্ষার মূলগত নীতিগুলোর পরিষ্কার লঙ্ঘন। এ ধরনের বেপরোয়া হামলা বড় ধরনের পারমাণবিক দুর্ঘটনার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। এ ধরনের হামলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।”
পারমাণবিক কেন্দ্রটির রুশ কর্তৃপক্ষ এ হামলার জন্য ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছে। বাহিনীটি ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ ব্যবহার করে কেন্দ্রটিতে ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে জাপোরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বলেছে, হামলায় কেন্দ্রটিতে খাদ্য সরবরাহ করতে আসা একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কেন্দ্রটির মাল বন্দর এলাকায়ও আঘাত হানা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “জাপোরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও এর অবকাঠামোতে গোলাবর্ষণ অগ্রহণযোগ্য। বিশ্বের কোনো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রই সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণ মাত্রার গোলাবর্ষণের মধ্যে দঁড়িয়ে থাকার মতো করে নকশা করা হয় না। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিরাপদে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে স্থাপনাটির অবকাঠামো ক্ষতি হওয়া প্রভাব ফেলতে পারে।”
রাশিয়ার অভিযোগের পর ইউক্রেইন এ হামলায় কোনোভাবে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রে ইউসোভ বলেছেন, “আগ্রাসি রাষ্ট্রটি আবার ওই পারমাণবিক কেন্দ্রটি, বেসামরিকদের ও পুরো ইউরোপের পরিবেশকে বিপন্ন করেছিল।”
সিএনএন জানিয়েছে, তারা রাশিয়া বা ইউক্রেন, কারও অভিযোগ বা দাবি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি।
গ্রসি বলেছেন, “পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করে কেউ লাভবান অথবা সামরিক বা রাজনৈতিক সুবিধা পাবে না এটি বোধগম্য। এটি একটি অন্তিম যাত্রা। আমি দৃঢ়ভাবে সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের কাছে আবেদন জানাই, পারমাণবিক স্থাপনা রক্ষাকারী মৌলিক নীতিগুলি লঙ্ঘন করে এমন যে কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকুন।”
আরও পড়ুন: