এই প্রথম ইসরায়েল জানাল যে, তাদের সেনারা গাজার জনাকীর্ণ দক্ষিণাঞ্চলীয় ওই নগরীতে কখন ঢুকতে পারে।
Published : 19 Feb 2024, 05:09 PM
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ নগরীতে স্থলঅভিযান চালানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাস ১০ মার্চের মধ্যে সব জিম্মির মুক্তি না দিলে রাফাহ-তে অভিযান শুরু করা হবে।
এই প্রথম ইসরায়েল জানাল যে, তাদের সেনারা গাজার জনাকীর্ণ দক্ষিণাঞ্চলীয় ওই নগরীতে কখন ঢুকতে পারে।
রাফাহে এমন অভিযানের বিরুদ্ধে বিশ্বে বিরোধিতা বাড়ছে। রাফাহ নগরীতে আশ্রয় নিয়ে আছে গাজার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি।
এর আগে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, ইসরায়েলের অভিযানের কারণে গাজার একটি প্রধান হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, তাদের কর্মীদেরকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গাজায় রাফাহর দক্ষিণের নগরী খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস’ (আইডিএফ) বৃহসপতিবার হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করে। তারা বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যে বলা হচ্ছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদেরকে সেখানেই আটকে রাখা হয়েছে।
আইডিএফ নাসের হাসপাতালে তাদের অভিযানকে খুবই ‘সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত আকারের’ বলে বর্ণনা করেছে। তারা হাসপাতালকে সন্ত্রাসের আখড়া হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগ করেছে।
রোববার ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ বলেছেন, “বিশ্বকে জানতে হবে, এবং হামাস নেতাদেরকেও জানতে হবে- রমজানের মধ্যে যদি আমাদের জিম্মিরা বাড়ি না ফেরে তাহলে সবখানে লড়াই চলবে। এর মধ্যে থাকবে রাফাহ এলাকাও।”
পবিত্র রমজান মাস এবছরের ১০ মার্চেই শুরু হচ্ছে। গান্টজ বলেন, ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিক হতাহতের সংখ্যা কমাতে আমাদের আমেরিকান এবং মিশরীয় অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমন্বিতভাবেই লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ সহজ করছে।”
এর আগে শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্ট বলেন, আইডিএফ রাফাহে হামাস যোদ্ধাসহ তাদের কমান্ড সেন্টার, সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে সেখানে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। সেইসঙ্গে বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা এড়ানোরও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গণমাধ্যমে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “গাজায় ২৪ টি আঞ্চলিক ব্যাটেলিয়ন আছে। আমরা সেগুলোর ১৮ টি ধ্বংস করেছি। রাফাহ হামাসের কার্যক্রম পরিচালনার পরবর্তী কেন্দ্র।”