বিয়ের আসরে উপস্থিত থাকা অতিথিরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বর ও কনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।
Published : 27 Nov 2023, 02:25 PM
থাইল্যান্ডের এক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ ও সাবেক সেনা নিজের বিয়ের আসরে গুলি করে কনেসহ আরও তিনজনকে গুলি করে হত্যা করার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। এ দিন চাতুরং সুকসুক (২৯) ও কাঞ্চনা পাচুনথুক (৪৪) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, চাতুরং হঠাৎ করেই বিয়ের আসর ছেড়ে চলে যান আর একটি বন্দুক নিয়ে ফিরে আসেন, এরপর তার স্ত্রী, তার ৬২ বছর বয়সী মা ও ৩৮ বছর বয়সী বোনকে গুলি করে হত্যা করেন।
দুই অতিথির গায়ে ছুটে আসা গুলির আঘাত লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে, ঘটনার সময় চতুরং ‘নেশাগ্রস্ত’ ছিল, কী কারণে সে এ ঘটনা ঘটালো তা পরিষ্কার হয়নি। গত বছর সে বৈধভাবেই বন্দুক ও গুলি কিনেছিল।
বিয়ের আসরে উপস্থিত থাকা অতিথিরা পুলিশকে বলেছেন, সেখানে বর ও কনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। থাই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঞ্চনা ও তার মধ্যে বয়সের ব্যবধানের কারণে চতুরং নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছিলেন।
কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, এগুলো এখনও অনুমানের পর্যায়ে রয়েছে, তারা ঘটনার বিষয়ে তথ্য, প্রমাণ সংগ্রহ করছে এবং এই মামলা ‘শিগরগিরই’ শেষ করতে পারবে।
থাই গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিয়ের আগে চতুরং ও কাঞ্চনা তিন বছর একত্রে বসবাস করেছেন।
গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান প্যারা অলিম্পিক গেমসের সাঁতার প্রতিযোগিতায় চতুরং রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।
থাইল্যান্ডের আধাসামরিক বাহিনীর লাইট ইনফ্যান্ট্রি কোরের সেনা ছিলেন তিনি। এই বাহিনী থাইল্যান্ডের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বপালন করে। একবার দায়িত্বপালনকালে তিনি তার ডান পা হারান।
থাইল্যান্ডে নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনা বিরল, কিন্তু বন্দুকের মালিকানা একটি সাধারণ বিষয়। গত মাসে ব্যাংককের একটি বিলাসবহুল মার্কেটে গুলিবর্ষণের এক ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছিল। আর গত বছরের অক্টোবরে দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে এক নার্সারিতে সাবেক এক পুলিশ সদস্যের গুলি ও ছুরি হামলায় ৩৭ শিশু নিহত হয়েছিল।