ভারতে হাথরাস ধর্ষণ মামলায় চার অভিযুক্তের তিনজনই খালাস

২০২০ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে এক দলিত তরুণী ধর্ষণ ও খুনের এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হয়েছিল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2023, 01:03 PM
Updated : 2 March 2023, 01:03 PM

দুইবছর আগে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের হাথরাস জেলায় ১৯ বছরের এক দলিত তরুণী ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত চারজনের তিনজনকেই বেকসুর খালাস দিয়ে একজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হাথরাস নিবাসী ওই তরুণীকে গণধর্ষণ এবং হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল। রাজধানী দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তরুণী। তারপরই তার মৃত্যু হয়। পরিবার দাবি করেছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত না অভিযুক্তদের পাকড়াও হয় ততক্ষণ মৃতদেহ দাহ করা হবে না।

তবে কর্তৃপক্ষ পরিবারের অনুমতি না নিয়ে রাতের অন্ধকারেই মৃতেদেহ দাহ করে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে তোলপাড় দেখা দেয়। নিন্দিত হয় বিশ্বজুড়েও।

মধ্যরাতে তরুণীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ঘিরে উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধে। দাবি করা হয়, এলাকার উচ্চবর্ণের ঠাকুর সম্প্রদায়কে আড়াল করতে চাইছে প্রশাসন। কারণ ধর্ষণের অভিযোগ ঠাকুর সম্প্রদায়েরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছিল।

অভিযুক্ত চারজনের নাম ছিল- সন্দীপ (২০), রবি (৩৫), লব কুশ (২৩), এবং রামু (২৬)। এর মধ্য আদালত রবি, লব কুশ ও রামুকে বেকসুর খালাস দিয়েছে এবং সন্দীপকে অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে।

বৃহস্পতিবার হাথরাসের আদালত বলেছে, ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় সন্দীপকে ইচ্ছাকৃত খুন নয় বরং অপরাধমূলক নরহত্যা (অপরিকল্পিত হত্যা) এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি আইনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

২০১২ সালে নির্ভয়া ধর্ষণ ঘটনার পর হাথরাসের ঘটনাটি গুরুতর ছিল। বিবিসি জানায়, দলিত ওই তরুণী হাসপাতালে থাকার সময় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার ওপর নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চার অভিযুক্তের নাম বলেছিল। ২৯ সেপ্টেম্বরে তরুণীটি মারা যায়।

পরে হাথরাস ধর্ষণ মামলার তদন্তভার ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার।