আল্টিমেটাম না মানলে নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইকোনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইসিওডব্লিউএএস)।
Published : 07 Aug 2023, 11:41 PM
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের ক্ষমতা দখল করা জান্তা বাহিনীকে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা যে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তা রোববার শেষ হয়েছে।
এখন ইকোনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইসিওডব্লিউএএস) কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার মুখে নাইজার। এ বিষয়ে ইসিওডব্লিউএএস-র পক্ষ থেকে সোমবার বলা হয়েছে, তারা একটি বিবৃতির মাধ্যমে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাবে।
নাইজারের জান্তা বাহিনীকে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছিল ইসিওডব্লিউএএস। নাইজারের জান্তা তা উপেক্ষা করেছে।
আল্টিমেটাম না মানলে ইসিওডব্লিউএএস-র পক্ষ থেকে প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা বলেছে, তারা এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানই প্রত্যাশা করছে।
গত ২৬ জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড। পরে সেনাবাহিনী ওই অভ্যুত্থানে সমর্থন দেয়।
ইউরেনিয়াম এবং তেল সমৃদ্ধ দেশ নাইজার অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত উভয় কারণেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন এবং রাশিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে সক্রিয় ইসলামপন্থি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পশ্চিমাদের বড় মিত্র ছিলেন নাইজারের বন্দি প্রেসিডেন্ট বাজোম।
রোববার বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর জান্তা বাহিনী নাইজারের আকাশসীমা পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। বলেছে, কোনো ধরণের সামরিক হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে তারা আগেই তাদের বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে।
জান্তা বাহিনীর একজন মুখপাত্র টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন “নাইজারের সশস্ত্র বাহিনী এবং আমাদের সব ধরণের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী, আমাদের জনগণের অদম্য সমর্থনকে সঙ্গে নিয়ে নিজ ভূখণ্ডের অখণ্ডতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত আছে।”
ইসিওডব্লিউএএস-র সঙ্গে নাইজার জন্তা বাহিনীর যে কোনো ধরণের উত্তেজনা বিশ্বের সবচেয়ে দারিদ্র পীড়িত ওই অঞ্চলটিতে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
ইসিওডব্লিউএএস-র প্রতিরক্ষা প্রধানরা সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, যদি প্রেসিডেন্ট বাজোমকে মুক্তি দিয়ে তার কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া না হয় তবে রাষ্ট্রপ্রধানরা কখন এবং কোথায় আক্রমণ করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ওদিকে, পশ্চিম আফ্রিকার আরো দুই দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোর ক্ষমতা দখল করা জান্তা বাহিনী প্রতিবেশী নাইজারের জান্তা বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে বলেছে, প্রয়োজনে তারা নাইজারের প্রতিরোধ যুদ্ধে সহায়তা করবে।
উভয় দেশ নিজেদের সমর্থন জানাতে রাজধানী নিয়ামিতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে বলেও সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে মালির সেনাবাহিনী।