সাদ্দাম পরবর্তী সংগ্রামমুখর দিনগুলোর কথা স্মরণ ইরাকিদের

প্রায় আড়াই দশক ক্ষমতায় থাকা সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ইরাকিদের কপালে নেমে এল আরও দুর্ভোগ; বেঁচে থাকার জন্য শুরু হল অন্য ধরনের লড়াই।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2023, 12:05 PM
Updated : 15 March 2023, 12:05 PM

দুই দশক আগে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ২০০৩ সালের অভিযান ইরাকে গণতন্ত্রের নতুন যুগের সূচনা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; কিন্তু গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে, জাতিতে জাতিতে এমনকী রাজনৈতিকভাবেও মারাত্মকভাবে বিভক্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মানুষরা এখনও তার সুফল দেখতে পেল না।

ওই অভিযানেই সাদ্দাম হোসেনের পতন হয়; অনেকের ধারণা ছিল, প্রায় আড়াই দশক শাসন করা একনায়কের পতন ইরাককে নতুন পথে নিয়ে যাবে।

অথচ ইরাকিদের কপালে নেমে এল আরও দুর্ভোগ; বেঁচে থাকার জন্য শুরু হল অন্য ধরনের লড়াই।

সেই সংগ্রামমুখর দিনগুলোর কথাই কয়েকজনের জবানিতে তুলে এনেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আহমেদ নাসের, শিয়া মুসলিম

২০০৭ সালে, ইরাকি প্রিমিয়ার লিগের সিজন শুরুর আগে নাসের আর তার খেলার সাথী ইহাব করিম নতুন ফুটবল বুট কিনতে বাগদাদের মার্কেটে গিয়েছিলেন। দিনের শেষে, করিম পরিণত হয়েছিলেন লাশে, নাসের চিরতরে হারিয়ে ফেলেন তার পা জোড়া।

মার্কিন অভিযানের পর অনেকগুলো বছর ইরাকের রাজধানীতে কত শত যে বোমা পড়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। তারই একটি বিস্ফোরিত হয় দুই শিয়া মুসলিমের সামনে, তারা দুজন তখন স্যান্ডউইচ খেতে এক জায়গায় বিরতি নিয়েছিলেন।

সেই বোমা করিমের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, বদলে দিয়েছে নাসেরের জীবন।

“সাদ্দাম থাকলেই ভালো হতো, আমার পা হারানো লাগতো না। তার শাসনে এমনটা হতোই না, কেননা সেসময় কোনো গোষ্ঠীতন্ত্রের সুযোগই ছিল না,” বলেন নাসের, তিনি এখন হুইলচেয়ারে বসে একটি প্যারাঅলিম্পিক দলের হয়ে বাস্টেকবল খেলেন।

মোহান্নাদ লাফতা, সুন্নি মুসলিম

তরুণ বয়সে মোহান্নাদ লাফতা প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের একের পর এক পোস্টার লাগাতো, এমন না যে তিনি বাথ পার্টির শীর্ষ নেতার সমর্থক ছিলেন। তিনি এ কাজ করতেন, যেন তাকে তার বাবার মতো ভিন্নমতাবলম্বী অ্যাখ্যা দেওয়া নয় হয়। তার বাবাকে সাদ্দামবিরোধিতার কারণে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হতে হয়েছিল।

কিন্তু সেই স্বৈরশাসককে উৎখাতের পর যারা দুই দশক ধরে ইরাক শাসন করছেন, তাদের আমলেও ভাগ্য ফেরেনি লাফতার।  

“আজকে যারা দেশ শাসন করছে, তারা তার (সাদ্দাম) চেয়েও বেশি নির্মম। ইশ, আমি যদি আমার বাবাকে এই কথাটা বলতে পারতাম, ‍যিনি তার নীতির কারণে আর বাথ পার্টির শাসন প্রত্যাখ্যান করায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন,” বলেছেন ৫১ বছর বয়সী সরকারি কর্মী লাফতা।

২০০৬ সালে তিনি যেখানে থাকতেন, এক শিয়া মসজিদে বোমা হামলার ঘটনার পর বাগদাদের সেই সুন্নি অধ্যুষিত এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। শিয়া বন্দুকধারীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকে। এক পর্যায়ে ভয়ে ওই এলাকা ছাড়েন লাফতা।

“ভেবেছিলাম যে নিস্তার পাবো, কিন্তু ইরাকে কেউ নিস্তার পাচ্ছে না। আমি চাই না আমার সন্তানরা এমন এক দেশে বেড়ে উঠুক, যেটি যুদ্ধ, দুর্নীতি আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। আমি চাই না তারা আমার মতো কষ্ট করুক,” মর্টারের গোলা যখন বৃষ্টির মতো তাদের নতুন বাসায় আছড়ে পড়ছিল, তখন তার স্ত্রী ও সন্তানরা কেমন আতঙ্কে ছিল সেই কথা বর্ণনা করতে করতে বলেন লাফতা।

এরকম হামলা তখন তাদেরকে নতুন কোনো বাসায় যেতে বাধ্য করতো।

আরাস আবিদ, কুর্দি

সাদ্দামের নির্দেশে ১৯৮৮ সালে কুর্দি সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর যে গ্যাস হামলা হয়েছিল, তাতে ১২ সদস্যের পরিবারের মধ্যে কেবল আরাস আবিদই বেঁচে ফিরতে পেরেছিলেন।

তার জন্য সাদ্দামকে ক্ষমতার বাইরে দেখার চেয়ে সুখকর আর কিছুই হওয়ার কথা ছিল না। অথচ সেই তিনিই এখন বলছেন, সাদ্দামের পতনের পর অন্যরা যে ভয়াবহ অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, তা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

“বাথ পার্টির শাসনামলে কেবল একটি পরিবারই দেশের সম্পদ চুরি করতো, এখন হাজার হাজার সাদ্দাম চুরি করছে। আমি এই পরিস্থিতি নিতে পারছি না। আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে,” বলেছেন আবিদ।

১৯৮৮ সালে হালাবজা রাসায়নিক হামলার পর আবিদ পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ পেতে পুরো শহর তন্ন তন্ন করে ফেলেছিলেন।

“এখানে ছিল আমার বোন আওয়াস, এখানে ভাই সিরিয়াস, এখানে আমার দাদা, এরপর আমি পাই আমার মা’কে, যার কোলে একটি শিশুও ছিল,” ওই শিশুটি ছিল আবিদের ছয়মাস বয়সী আরেক ভাই। মায়ের স্তন্য পান করতে করতেই যে মারা পড়েছিল। 

সাদ্দাম পতনের পর কুর্দিরা গ্যাস ও তেল সম্পদে বিনিয়োগের মাধ্যমে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে সমৃদ্ধশালী করে তোলার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠে। কিন্তু কুর্দিদের দুটি দলের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু হয়ে যায়; এরপর ২০১৭ সালে কুর্দিরা যখন স্বাধীনতার লক্ষ্যে গণভোট করে, বাগদাদ তার সেনাদের কুর্দি অঞ্চল দখলে নির্দেশ দেয়, অঞ্চলটির জন্য বরাদ্দ তহবিল কমিয়ে দেয়। 

“আমাদের দাবি রাজনীতির কাছে হেরে যায়, আমরা আরও একবার পরাজিত হই,” বলেন আবিদ।

জসিম আল-আসাদি, পরিবেশ আন্দোলনকর্মী

বাথ পার্টির প্রতি আনুগত্য প্রকাশে অস্বীকার করায় সাদ্দাম শাসনামলে জেল খাটতে ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল জসিম আল-আসাদকে। গত মাসেও তাকে একই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছে। এবার তাকে একদল সশস্ত্র লোক অপহরণ করে নিয়ে যায়, চালায় বর্বর নির্যাতন। সাদ্দাম আমলের চেয়ে এই নির্যাতনকে ‘আরও মারাত্মক’ বলে অভিহিত করেন তিনি।

“এবার যে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তার মাত্রা ও কৌশল বাথ পার্টির লোকজন বন্দিদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন চালাতো, তাকে ছাড়িয়ে গেছে,” বলেছেন ৬৫ বছর বয়সী হাইড্রলিক প্রকৌশলী ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মী।

এবার তার চোখ ও হাত বেধে রাখা হয়েছিল, লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছিল, বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়েছিল, রাখা হয়েছিল নির্জন প্রকোষ্ঠে।

ফাইজা সারহান, সংখ্যালঘু সাবিয়ান মান্দিয়ান গোষ্ঠীর সদস্য

ফাইজা সারহান প্রাচীন সাবিয়ান মান্দিয়ান ধর্মের অনুসারী। কমিউনিস্ট পার্টি করার অপরাধে তার পরিবারের ৭ সদস্যকে সাদ্দাম শাসনামলে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছিল।

তারপরও সেই আমল অপেক্ষাকৃত ভালো ছিল, বলছেন ৫০ বছর বয়সী এই নারী।

সাদ্দামের শাসনামলে সংখ্যালঘুরা বাধার মুখে পড়তো না, ধর্মবিশ্বাসের কারণে তাদেরকে আলাদাও করা হতো না। নির্যাতন নেমে আসতো কেবল তখনই, যখন সরকারের বিরোধিতা করা হতো।

কিন্তু সাদ্দাম পতনের পর সাবিয়ান মান্দিয়ানরা কট্টরপন্থি মুসলিমদের তোপের মুখে পড়ে, তাদেরকে অ্যাখ্যা দেওয়া হয় শয়তানের উপাসক হিসেবে।

সারহান নির্যাতন, যুদ্ধ বা সাদ্দাম আমলে নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি ভুলছেন না, কিন্তু তখনকার মতো নিরাপত্তা যে পরে আর কখনোই মেলেনি, তা স্বীকার করতে একবিন্দুও কুণ্ঠিত নন তিনি।

ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের পর তার সম্প্রদায়ের সদস্যরা, যারা বেশিরভাগই স্বর্ণের ব্যবসায়ী, ব্যাপক হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিচার না পেয়ে তাদের অনেকে পরে দেশও ছেড়েছেন। 

২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ইরাকে যে গোষ্ঠীগত গৃহযুদ্ধ চলে, সেসময় খ্রিস্টান, সাবিয়ান মান্দিয়ান, ইয়াজিদি ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অসংখ্য সদস্য অপহৃত ও খুন হন।

“সাদ্দাম চলে যাওয়ার পর নিরাপত্তাও যেন হারিয়ে যায়। ২০০৩ সালের পর সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো নিজেদের দুর্বল ভাবা শুরু করে,” বলেন ২০০৬ সালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিরিয়া পালিয়ে যাওয়া সারহান। সেসময় তার এক কাজিনকে অপহরণ করা হয়েছিল, একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল। 

সারহান জানান, সাদ্দামের আমলে তার বোন আর কাজিনদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ধর্মবিশ্বাস নয়, তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস ও আন্দোলনের কারণে। তাদের মৃতদেহ কখনোই ফেরত দেওয়া হয়নি।

ইরাকে এখন নিজের সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চালানো সারহান বলেন, ২০০৩ সালের আগে ইরাকে তার সম্প্রদায়ের সদস্য ছিল ৭০ হাজার, এখন কেবল ১৫ হাজার সদস্য টিকে আছেন, বাকিরা দেশ ছেড়েছেন।  

খালিদ অলোকা, ইয়াজিদি

সাদ্দামের নির্মম শাসন দেখেছিলেন খালিদ অলোকা; কিন্তু সাদ্দামের পতনের কয়েক বছর পর ইয়াজিদি সম্প্রদায়কে যেভাবে কচুকাটা করা শুরু হয়, তার তুলনায় সাদ্দামের শাসনকে এখন হাজারগুণে ভালো মনে হচ্ছে তার।

২০০৭ সালে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট একটি জঙ্গি গোষ্ঠী একটি বাস থেকে ২৪ ইয়াজিদি পুরুষকে নামিয়ে হত্যা করে, শিশুদের ছেড়ে দেয়। সেদিনের নিহতদের মধ্যে অলোকার দুই কাজিনও ছিলেন।

২০১৪ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তাদের কট্টর শাসন কায়েম করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার পর একই ভাগ্য বরণ করার ভয়ে তিনি চার সন্তানসহ নিজেকে ঘরের ভেতর কয়েক সপ্তাহ তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন অলোকা।

সেসময় আইএস ইয়াজিদিদেরকে শয়তানের উপাসক অ্যাখ্যা দিয়েছিল। তাদের পুরুষদের হত্যা করার পাশাপাশি নারীদের বন্দি করে বানাচ্ছিল সেবাদাসী।  

“আমরা ইন্টারনেট আর দামি গাড়ি পাই, কিন্তু নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটে। ইরাকের ভাগ্য হয়ে যায় অজানা,” বলেন তিনি।

জিহাদি আইএস গোষ্ঠীকে ২০১৭ সালে ওই অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করার পরও ঘরে ফেরা নিয়ে আতঙ্কে থাকা অনেক ইয়াজিদি এখনও বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে অবসথান করছেন।

অলোকা বাধ্য হয়ে তার সন্তানদের তুরস্ক, পরে সেখান থেকে শরণার্থী হিসেবে কানাডা পাঠিয়ে দেন। তিনি এবং তার স্ত্রী, দুজনই শিক্ষক, থেকে যান ইরাকে।

“আমরা চাই না আমাদের সন্তানরা আমাদের মতো তিক্ত জীবনযাপন করুক,” উত্তর ইরাকের বাশিকা শহরের বাড়ি থেকে টেলিফোনে এমনটাই বলেন অলোকা।

প্যাসকেল ওয়ার্ডা, খ্রিস্টান

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনী যখন ইরাকে অভিযান শুরু করে, ইরাকি খ্রিস্টান প্যাসকেল ওয়ার্ডা তখন লন্ডনে সাদ্দামকে উৎখাতে ইউরোপীয় নেতাদের কাছে লবিং করছিলেন।

“সেটা ছিল আমাদের জন্য অবিস্মরণীয় দিন। আমরা বিশ্বাস করতাম, ওই স্বৈরশাসক চলে গেলে, দেশ পুনর্গঠনে যা যা দরকার, সবই আমরা পেয়ে যাবো,” বলেন ৬১ বছর বয়সী এ নারী। 

সাদ্দাম পতনের পর গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অংশ হতে চাওয়া ওয়ার্ডা ইরাকের অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য হতেও রাজি হন; এরপরই সাক্ষী হন খ্রিস্টানদের ওপর ইসলামী জঙ্গিদের সহিংস হামলার।

ক্ষমতায় থাকার ১১ মাসে তাকে হত্যার একাধিক চেষ্টা হয়েছিল, বরাতজোরে বেঁচে যান। কিন্তু এখনও বিশ্বাস করেন, সাদ্দামবিহীন ইরাক বেশ ভালোই আছে।

খ্রিস্টান ও অন্য সংখ্যালঘুদের তৎক্ষণ পর্যন্ত সহ্য করা হতো, যতক্ষণ তারা সাদ্দামের বিরোধিতা না করছে, বলেন ওয়ার্ডা।  

“সাদ্দাম আমলে ওই নিরাপত্তা ছিল, কেননা কেউ তার শাসনের বিুরদ্ধে বললেই তাকে সন্ত্রাস এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হতো। মৃতদের মতোই কেউ সেসময় কথা বলতে বা মত প্রকাশ করতে পারতো না। 

“আপনি যদি কবরস্থানে যান, আপনি কোনো শব্দ শুনবেন না। সাদ্দামের আমলও তেমনই ছিল,” বলেন ওয়ার্ডা, যার পরিবারের একাধিক সদস্যকে রাষ্ট্র মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।

দণ্ড কার্যকরের পর ইরাকের নিরাপত্তাবাহিনী ওয়ার্ডার আত্মীয়দের মৃতদেহ ফিরিয়েও দিয়েছিল, তবে সেগুলো ছিল খণ্ড বিখণ্ড, ছিল না অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও।