নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি ওই হামলার দায় স্বীকার করে।
Published : 14 Oct 2023, 05:49 PM
কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আঙ্কারায় বোমা হামলার দায় স্বীকার করার পর প্রতিবেশী ইরাকের উত্তরাঞ্চল ও দেশে কুর্দি অবস্থানগুলোতে পাল্ট অভিযান চালিয়েছে তুরস্ক।
অভিযানে ইস্তাম্বুল থেকে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে বলে তুরস্ক জানিয়েছে।
রোববার সকালে দুই হামলাকারী আঙ্কারার সরকারি ভবনগুলোর কাছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই হামলায় তারা নিজেরা নিহত হওয়ার পাশাপাশি দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করে। নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ওই হামলার দায় স্বীকার করে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরাকের মেতিনা, হাকুর্ক, কানদিল ও গারা অঞ্চলে রাতভর বিমান হামলা চালিয়ে পিকেকের ব্যবহৃত আশ্রয়স্থল, ডিপো ও গুহাসহ ২০টি লক্ষ্যস্থল ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, বহু বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যা করা হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে পিকেকের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের মাত্রা বাড়িয়েছে তুরস্ক। জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারায় বর্ণিত ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ এর দোহাই দিয়ে তারা ইরাকে কুর্দি অবস্থানগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
ইরাকের প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদ সোমবার বলেছেন, তাদের কুর্দিস্তান অঞ্চলে তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি বা সেখানে তুরস্কের বারবার বিমান হামলা, উভয়ই প্রত্যাখ্যান করছে বাগদাদ। এই সমস্যা সমাধানে আঙ্কারার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
রোববার আতাতুর্ক বুলেভারে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলাটি ২০১৬ সালের পর থেকে রাজধানী আঙ্কারায় চালানো প্রথম হামলা। পিকেকে বলেছে, তাদের ‘অমর ব্যাটেলিয়ন’ হামলাটি চালিয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ালিকায়া সোমবার জানিয়েছেন, বোমা হামলার পর কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ ইস্তাম্বুল ও অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালিয়ে পিকেকের সঙ্গে সম্পর্কিত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিয়ে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পিকেকে ১৯৮৪ সালে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে, তার পর থেকে দুই পক্ষের হানাহানিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সংবাদসূত্র: রয়টার্স
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: