বেসামরিক মানুষদের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টির উপর জোর দেন তারা।
Published : 08 Nov 2023, 06:47 PM
ত্রাণ সরবরাহ এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য গাজায় চলমান সংঘাতে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ সাত ধনী দেশের সংগঠন জি৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে বুধবার দুই দিনের বৈঠকের শেষ দিনে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তবে তারা বেসামরিক মানুষদের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টির উপরও জোর দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজার জন্য টেকসই দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রস্তুত করতে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত পরামিতির সাথে সঙ্গতি রেখে একটি বৃহত্তর শান্তি প্রক্রিয়ায় ফিরে আসতে জি৭ সদস্যরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ...।
“..আমরা জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা, বেসামরিকদের সরে যাওয়ার সুযোগ এবং জিম্মিদের মুক্তির সুবিধার্থে মানবিক বিরতি এবং করিডোর তৈরিকে সমর্থন করি।”
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নীতি এ সংকটের ‘ন্যায্য, দীর্ঘস্থায়ী এবং নিরাপদ শান্তির একমাত্র পথ’ বলেও মত প্রকাশ করেন তারা।
।গত ৭ অক্টোবর ভোর বেলা অতর্কিতে ইসরায়েলে হামলা চলায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। প্রথমে গাজা থেকে বৃষ্টির মত রকেট ছুড়ে ইসরায়েলকে দিশেহারা করে দিয়ে তারপর সীমান্ত বেড়া ভেঙে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করে রীতিমত হত্যাযজ্ঞ চালায় হামাস যোদ্ধারা। কয়েক ঘণ্টার হামলায় তারা ১৪শ’র বেশি মানুষকে হত্যা করে। ইসরাায়েল থেকে গাজায় ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে।
হামাসের হামলার জবাব দিতে ওই দিনই গাজার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েল। বিমান হামলা চালিয়ে গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়াই যেনো তাদের ইচ্ছা। এক মাসের বেশি সময় ধরে এই হামলা অব্যাহত আছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে স্থল অভিযান। ইসরায়েলি সেনারা এরই মধ্যে গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। ঘিরে ফেলেছে পুরো নগরী।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের ৪০ শতাংশই শিশু।