রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দুর্ভাগ্যজনক: যুক্তরাষ্ট্র

চুক্তির বিষয়টি নিয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে ওয়াশিংটন ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রয়টার্স
Published : 21 Feb 2023, 04:44 PM
Updated : 21 Feb 2023, 04:44 PM

পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত রাশিয়া ঘোষণা করেছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

তবে তিনি বলেন, চুক্তির বিষয়টি নিয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক ওয়াশিংটন। রাশিয়া আসলেই কী করে তা যুক্তরাষ্ট্র সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য করবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে সাংবাদিকদের ব্লিনকেন বলেন, “ বিশ্বে যা-ই চলুক না কেন এবং আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যে পর্যায়েই থাকুক না কেন, কৌশলগত অস্ত্রের সংখ্যা সীমিত করা নিয়ে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যে কোনও সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছি।

“আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য যে অঙ্গীকার করেছি, তা যে কোনো পরিস্থিতিতে নিশ্চিত করব”, বলেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর আগে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ‘স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষণে ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তিতে তার দেশের অংশগ্রহণ স্থগিত করা হচ্ছে বলে ঘোষণা দেন।

দুই পক্ষের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রাগার সীমিত রাখতে করা হয়েছিল এ চু্ক্তি। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সর্বশেষ কেবল এই চুক্তিটিই কার্যকর ছিল।

‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তিটি ২০১০ সালে প্রাগে সই হয়েছিল। এই চুক্তি পরের বছর কার্যকর হয়। পাশাপাশি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর আরও পাঁচ বছরের জন্য এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

এ চুক্তিই এতদিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া কী পরিমাণ কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন করতে পারে তার নির্ধারক ছিল এবং একইসঙ্গে স্থল-ভিত্তিক, সাবমেরিন-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমানের ব্যবহারের সীমা টেনে দিয়েছিল।

চুক্তিটি স্থগিত করার পুতিনের সিদ্ধান্তের কারণে এখন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যকার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সর্বশেষ স্তম্ভটিই বিপন্ন হয়ে পড়ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন এ পরিস্থিতিতে যে কোনও সময়েই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরুর দ্বার খোলা রেখেছেন।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দায়িত্বশীল আচরণ করুক সেটিই বিশ্ব আশা করে।