ইউক্রেইন, সিরিয়া ও সুদানের মত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পেছনে ফেলে স্টিভ হ্যাঙ্কের অ্যানুয়াল মিজেরি ইনডেক্সে (এইচএএমআই) প্রথম স্থান দখল করেছে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে।
মূলত একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তা পর্যালোচনা করে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাঙ্ক বিশ্বের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত দেশের তালিকা তৈরি করেন।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, ওই তালিকায় মোট ১৫৭টি দেশের নাম রয়েছে। তালিকায় সবচেয়ে সুখী দেশ সুইজারল্যান্ড।
এক টুইটে স্টিভ হ্যাঙ্ক বলেন, ‘‘আশ্চর্যজনক মূল্যস্ফীতি, উচ্চ বেকারত্ব, উচ্চ ঋণের হার এবং মারাত্মক ধীরগতির জিডিপি প্রবৃদ্ধি কল্যাণে জিম্বাবুয়ে দ্য হ্যাঙ্ক ২০২২ অ্যানুয়াল মিজেরি ইনডেক্সে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত দেশে অবস্থান পাকা করেছে। আমার কী আর কিছু বলার দরকার?”
তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন জেএএনইউ-পিএফ পার্টি এবং দেশ পরিচালনায় তাদের ‘ব্যাপক দুর্দশা সৃষ্টিকারী’ নীতিগুলোকে এজন্য দায়ী করেছেন।
তালিকায় প্রথম ১৫টি দেশ হল যথাক্রমে: জিম্বাবুয়ে, ভেনেজুয়েলা, সিরিয়া, লেবানন, সুদান, আর্জেন্টিনা, ইয়েমেন, ইউক্রেইন, কিউবা, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, হাইতি, অ্যাঙ্গোলা, টোঙ্গা এবং ঘানা।
সুইজারল্যান্ডের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সুখী দেশ কুয়েত। তারপর যথাক্রমে: আয়ারল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, নাইজার, থাইল্যান্ড, টোগো ও মাল্টা।
ভারত এই তালিকায় ১০৩তম অবস্থানে। বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের তুলনায় ভালো, ১১৫তম। পাকিস্তান রয়েছে তালিকায় ৩৫তম অবস্থানে। যুক্তরাষ্ট্র ১৩৪তম।
ফিনল্যান্ড টানা ছয়বার এই তালিকায় সবচেয়ে সুখী দেশ ছিল। কিন্তু এবার তাদের অবস্থাকন ১০৯তম।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লাইড ইকোনোমিক্স এর অধ্যাপক স্টিভ হ্যাঙ্ক প্রতি বছর বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক ঋণের হার এবং মাথাপিছু প্রকৃত জিডিপিকে বিবেচনায় নিয়ে এই অ্যানুয়াল মিজেরি ইনডেক্স তৈরি করেন।