ইউক্রেইন থেকে শস্য রপ্তানির চুক্তিতে ফিরছে রাশিয়া

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ এবং দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে অলোচনার পর রাশিয়া শস্য রপ্তানি চুক্তিতে এই ইউটার্ন নিয়েছে।

রয়টার্স
Published : 2 Nov 2022, 01:51 PM
Updated : 2 Nov 2022, 01:51 PM

কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেইনীয় বন্দর থেকে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্থগিতের চারদিনের মাথায় হঠাৎ করেই আবার এ চুক্তিতে ফিরে আসছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনালাপ এবং দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে অলোচনার পর রাশিয়া শস্য রপ্তানি চুক্তিতে এই ইউটার্ন নিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “এ মুহূর্তে যে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে তা যথেষ্ট বলেই রাশিয়ান ফেডারেশন মনে করছে এবং চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু করছে।”

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হলে কৃষ্ণসাগর অবরোধ করেছিল রাশিয়া। তাতেই বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দামে উল্লম্ফন দেখা দেয়। শস্যের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেইনের ওপর নির্ভরশীল অনেক দরিদ্র দেশে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। এরপরই আন্তর্জাতিক উদ্যোগে হয়েছিল ওই শস্য সরবরাহ চুক্তি।

গত জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় শস্য রপ্তানি চুক্তিটি সই করেছিল ইউক্রেইন ও রাশিয়া। এ চুক্তির আওতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেইনে রপ্তানির জন্য আটকা পড়ে থাকা শস্য প্রথম রপ্তানি করা শুরু হয়। এরপর ইউক্রেইন থেকে ৯০ লাখ টন গম, সূর্যমুখী পণ্যসহ ভোজ্য তেল রপ্তানি করা হয়েছিল। এতে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দাম কমে আসে।

কিন্তু চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া জানায়, কিইভ তাদের কৃষ্ণসাগরের নৌবহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে; যে নৌযানগুলোতে হামলা হয়েছে সেগুলো ওই শস্য রপ্তানির করিডোরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে ছিল।

এই হামলাকে কারণ দেখিয়ে মস্কো জানিয়েছিল, তারা আর ওই করিডোর দিয়ে যাতায়াত করা বেসামরিক জাহাজের নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তাই শস্য রপ্তানি চুক্তি স্থগিত করা হচ্ছে।

তবে রাশিয়া চুক্তি স্থগিত করলেও জাতিসংঘ, তুরস্ক এবং ইউক্রেইন মিলে শস্য জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করেছিল।

এর মধ্যেই রাশিয়া বুধবার ফের চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দিল। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলেছে, কিইভ শস্য রপ্তানি রুটে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা না চালানোর ব্যাপারে লিখিত আশ্বাস দিয়েছে।

তুরস্ক এবং জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের মধ্যস্থতায়ই ইউক্রেইনের কাছ থেকে এই লিখিত নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে।