জীবনের থেকেও বড় চরিত্র ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। যিনি গত শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির সময় ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন।
Published : 30 Nov 2023, 02:16 PM
মারা গেছেন হেনরি কিসিঞ্জার। কূটনীতির অঙ্গনে যার পরিচিতি ছিল ‘বাস্তববাদের’ একান্ত অনুরসরণকারী হিসেবে। তিনি যেমন একদিকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তেমনি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও রয়েছে।
বলা হয়ে থাকে, বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী তার পররাষ্ট্র নীতি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলা হয় কিসিঞ্জারকে। ঊনিশশ সত্তরের দশকের স্নায়ুযুদ্ধের ইতিহাসের অন্যতম রূপকারও ছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা কিসিঞ্জার মার্কিন কূটনীতিতে রেখে গেছেন অমোচনীয় ছাপ।
তিনি একাগ্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের নীতি অনুসরণ করে গেছেন। তার উদ্যোগেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বরফ গলেছিল।
১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের অবসানে তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
চীন, রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন কূটনীতির সুরে এখনও কিসিঞ্জারের নীতি অনুরণিত হয়। বলা হয়, আনোয়ার সাদাত, মাও জে দং, রিচার্ড নিক্সন আর বাদশাহ ফয়সালের পররাষ্ট্রনীতিতেও তার প্রভাব ছিল।
তবে তুখোড় রাজনৈতিক মেধা আর কূটনৈতিক সাফল্যের জন্য নিজের দেশে কিসিঞ্জার যতটা সমাদৃত, বিশ্বের নানা প্রান্তে যুদ্ধ-সংঘাতের ‘কারিগর’ হিসেবে ছিলেন ততটাই নিন্দিত।
কমিউনিস্ট চীন থেকে শুরু করে ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষপর্যন্ত সোভিয়েতবিরোধী স্বৈরশাসকদের সমর্থন দিয়ে গেছেন কিসিঞ্জার। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সম্প্রসারণ, চিলি ও আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থান, পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের পক্ষে অবস্থানের কারণে অনেকের কাছে তিনি একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিবেচিত।
কিসিঞ্জারকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে শুনে আমেরিকার জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টম লেহরের বিখ্যাত উক্তি ‘রাজনৈতিক বিদ্রুপের মৃত্যু হলো’।
নাৎসি জার্মানি থেকে পালানো:
জার্মানির বাভারিয়ায় ১৯২৩ সালের ২৭ মে একটি মধ্যবিত্ত ইহুদি পরিবারে জন্ম হয় হাইঞ্জ আলফ্রেড কিসিঞ্জারের, বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। নাৎসি পীড়ন থেকে রক্ষা পেতে ১৯৩৮ সালে পরিবারটি যুক্তরাষ্ট্র চলে যায় এবং নিউ ইয়র্কে বসবাস শুরু করে।
নিউ ইয়র্কে বেড়ে ওঠা লাজুক কিশোর হেনরি কখনো তার জার্মান উচ্চারণ এবং ফুটবলের প্রতি তীব্র ভালোবাসা ছাড়তে পারেননি।
তিনি সেখানে একটি নৈশ স্কুলে (হাই স্কুল) পড়তেন, দিনের বেলায় কাজ করতেন শেভিং ব্রাশ তৈরির কারখানায়।
১৯৪৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান কিসিঞ্জার। তার পরিকল্পনা ছিল হিসাববিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করার। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে।
সামরিক বাহিনীতে তিন বছর পদাতিক সৈন্য হিসেবে কাজ করার পর যোগ দেন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কোরে। সেখানে তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আর ভাষায় দক্ষতা দারুণ কাজে লাগে।
সাবেক গেস্টাপো কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে পাকড়াও করতে মাত্র ২৩ বছর বয়সে কিসিঞ্জার একটি দলের নেতৃত্ব পান। যে দলকে সন্দেহভাজনদের আটক বা গ্রেপ্তার করার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।
‘স্মল নিউক্লেয়্যার ওয়ার’:
যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করেন কিসিঞ্জার। ১৯৫৭ সালে তিনি ‘নিউক্লেয়্যার ওয়ার অ্যান্ড ফরেইন পলিসি’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি সীমিত আকারে পারমাণবিক যুদ্ধ সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি কোনো ধরণের সংশয় না রেখেই বলেন, যুদ্ধে ছোট আকারের ‘কৌশলগত’ পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
এই বই তাকে নজরে আনে এবং বিশ্বজুড়ে খ্যাতিমান ও প্রভাবশালী চরিত্র হয়ে ওঠার যাত্রার সূচনা হয়। তার ‘স্মল নিউক্লেয়্যার ওয়ার’ থিওরি এখনো বিশ্ব রাজনীতিতে অনুরণিত।
তিনি নিউ ইয়র্কের গভর্নর এবং সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নেলসন রকফেলারের সহযোগী হিসেবে কূটনীতির মাঠে প্রবেশ করেন। এবং ১৯৬৮ সালে রিচার্ড নিক্সন যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তখন কিসিঞ্জারকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ প্রস্তাব করা হয়।
প্রেসিডেন্ট নিক্সন এবং কিসিঞ্জারের মধ্যে সম্পর্ক বেশ জটিল ছিল। নিক্সন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পরামর্শের জন্য কিসিঞ্জারের উপর নির্ভার হয়ে নির্ভর করতেন। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি আমেরিকান ইহুদিদের প্রতি ইহুদি বিদ্বেষ ও সন্দেহের দৃষ্টি রাখতেন।
শত্রুর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমন নীতি:
স্নায়ু যুদ্ধ উত্তেজনা তখন তুঙ্গে; নিক্সন এবং কিসিঞ্জার মিলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের সিদ্ধান্ত নিলেন: নিজ নিজ পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ কমানোর আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করে।
একইসাথে চীন সরকারের সঙ্গেও তারা আলোচনা শুরু করেন। যা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটায় এবং চীনকে দিয়ে সোভিয়েত শাসকদের উপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির পথ খোলে। সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর বরাবরাই প্রতিবেশী চীনের প্রভাব ছিল।
কিসিঞ্জারের প্রচেষ্টাতেই ১৯৭২ সালে চীনে ঐতিহাসিক সফরে যান প্রেসিডেন্ট নিক্সন। সেখানে তিনি চীনা প্রধানমন্ত্রী জোউ এনলাই এবং মাও জে দংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন ২৩ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এবং শত্রুতার অবসান হয়।
ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া:
চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়েনের সঙ্গে যখন উত্তেজনা প্রশমনের কাজ চলছিল, সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকে নিজেদের বের করে আনার চেষ্টাও করছিল।
‘সম্মানের সঙ্গে শান্তি’ নিক্সনের নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ছিল।
এবং কিসিঞ্জার দীর্ঘদিন ধরে এই উপসংহারে এসেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ধরণের সামরিক বিজয়ই অর্থহীন যদি না ‘আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা অর্জন করতে পারি, যা আমাদের চূড়ান্ত সেনা প্রত্যাহারের পরও বেঁচে থাকবে’।
তিনি উত্তর ভিয়েতনামের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। কিন্তু একইসঙ্গে কমিউনিস্টদের কাছে সেনা ও রসদ সরবরাহ বন্ধ করতে নিরপেক্ষ কম্বোডিয়ায় গোপনে বোমা হামলা চালানোর যে পরিকল্পনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন গ্রহণ করেছিলেন তাতে সমর্থন দেন।
নিক্সনের ওই কূটনীতি কম্বোডিয়ায় চার বছর ধরে গোপনে মার্কিন বোমা হামলা অন্তত ৫০ হাজার বেসামরিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। দেশটিকে এতটাই বিশৃঙ্খল করে দেয় যে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সূচনা হয় পল পট এর নৃশংস খেমাররুজ রাজত্বের।
সে সময়ে কিসিঞ্জার আর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নন বরং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দক্ষিণ ভিয়েতনাম থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তখন প্যারিসে ভিয়েত কংয়ের সঙ্গে কিসিঞ্জারের দফায় দফায় জঠিল আলোচনা হয় এবং তিনি সেই আলোচনায় সফল হন।
ভিয়েতনামের জেনারেল, কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ লে ডাক থো-কে সঙ্গে নিয়ে ১৯৭৩ সালে প্যারিস শান্তি চুক্তি করেছিলেন তিনি।
যে চুক্তি তাকে লে ডাক থোর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়। বিশ্বজুড়ে শান্তির পক্ষে কাজ করে যাওয়া সমাজকর্মীরা নোবেল কমিটির এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
কিসিঞ্জার নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং পুরস্কারের অর্থ ভিয়েতনাম যুদ্ধে নিহত আমেরিকার সেনাদের সন্তানদের কল্যাণার্থে দান করেন। কিন্তু দুই বছর পর কমিউনিস্ট বাহিনী দক্ষিণ ভিয়েতনাম দখল করে। তখন কিসিঞ্জার তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
বাস্তববাদী কূটনীতি:
কিসিঞ্জারের কুশলী কূটনীতি ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের অবসান ঘটায়।
প্রেসিডেন্ট নিক্সন গোপনে হোয়াইট হাউসের টেলিফোনে আঁড়ি পাতার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাতে ধরা পড়ে সে সময়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার তার দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে আচরণ করেছে তার জন্য তিনি নিক্সন ও কিসিঞ্জারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর প্রস্তাব করেছেন।
কিন্তু মেয়ার ক্ষমতা ছাড়ার পর ওই টেপগুলো কূটনীতির এক অন্ধকার দিক উন্মোচন করে। যেখানে দেখা যায়, কিসিঞ্জার বা নিক্সন কারোই রাশিয়ার ইহুদিদের ইসরায়েলে নতুন জীবন শুরু করতে দেওয়ার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নকে চাপ প্রয়োগের কোনো ইচ্ছাই ছিল না।
যেখানে কিসিঞ্জারকে বলতে শোন যায়, “সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইহুদিদের অভিবাসন আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির উদ্দেশ্য নয়।
“এবং যদি সোভিয়েত ইউনিয়নে তারা ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে রাখে সেটাও আমেরিকার উদ্বেগের বিষয় নয়। হয়তো এটা মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগ।”
এছাড়াও কিসিঞ্জার ১৯৭৩ সালে চিলিতে সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন দিয়েছিলেন। এই অভ্যুত্থানে চিলির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সমাজতান্ত্রিক সরকার উৎখাত হয়েছিল।
১৯৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশীয় আগ্রাসনে সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনার দমনমূলক সামরিক একনায়কত্বকে সমর্থন দিয়েছিলেন কিসিঞ্জার। এই সামরিক শাসকেরা ১৯৭৬ সালে আর্জেন্টিনার ভিন্নমতাবলম্বী ও বামপন্থীদের বিরুদ্ধে ‘নোংরা (অপ্রচলিত) যুদ্ধ’ শুরু করেছিল। তিনি অ্যাঙ্গোলায় গৃহযুদ্ধেও ইন্ধন জুগিয়েছিলেন।
জীবনের থেকেও বড় যে চরিত্র:
১৯৭৭ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছাড়েন কিসিঞ্জার। তাকে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যানের পদ প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
সরাসরি রাজনীতিতে না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তার প্রভাব অটুট ছিল। তিনি দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও বিল ক্লিনটনের পররাষ্ট্র নীতির কঠোর সামলোচনা করেছেন। বলেছেন, এই দুই প্রেসিডেন্ট মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বিষয়ে তাড়াহুড়ো করেছেন।
শতবর্ষী কিসিঞ্জার বেইজিংয়ে পেলেন উষ্ণ সংবর্ধনা, আক্ষেপ হোয়াইট হাউসের
নাইন/ইলেভেনের পর সে সময়ের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ তাকে নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হামলা নিয়ে তদন্ত কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেওয়া প্রস্তাব দেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরই তিনি তদন্ত কার্যক্রম থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। কারণ, তিনি তার কনসালটেন্সি ফার্মের ক্লায়েন্টদের তালিকা প্রকাশ করতে এবং স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন।
তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকেও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ছিল, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্রাইমিয়া দখল করার বিষয়টি মেনে নেওয়া।
২০২৩ সালে ১০০ বছরে পা দেন কিসিঞ্জার। ততদিনে ইউক্রেইন বিষয়ে তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এনেছেন। রাশিয়ার ইউক্রেইনে আক্রমণ করার পর তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হলে ইউক্রেইনের উচিত হবে নেটোতে যোগ দেওয়া।
জীবনের থেকেও বড় একটি চরিত্র ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। যিনি গত শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির সময় ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন।