গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার এ নগরীতেই সবচেয়ে তীব্র লড়াই হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি কমান্ডার।
Published : 05 Dec 2023, 10:42 PM
সেনারা গাজার দক্ষিণের খান ইউনিস নগরীর প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সাউদার্ন কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যান।
গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার এ নগরীতেই সবচেয়ে তীব্র লড়াই হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগের দিন রাতে সেখানে বোমা হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছে হামাস-পরিচালিত কর্তৃপক্ষ।
ওদিকে, গাজার কেন্দ্রস্থলে দেইর আল বালায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহতের খবর বিবিসি-কে জানিয়েছেন আল আকসা হাসপাতালের মুখপাত্র।
খান ইউনিসের অধিবাসীরা বলেছে, ইসরায়েলের সেনা এবং ট্যাংক গাজার উপকূলীয় এলাকা ঘিরে থাকা বেষ্টনী পার হেয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং পূর্বদিক থেকে নগরীর দিকে এগুচ্ছে।
ইসরায়েল কয়েকদিন ধরে অধিবাসীদেরকে এলাকা ছেড়ে যেতে বলার পর মঙ্গলবার আশ্রয়শিবিরেই থাকার নির্দেশ দিয়ে হামলা চলার সময় বাইরে বেরোতে মানা করেছে।
ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ইলন লেভি বলেছেন, “আমরা যুদ্ধের দ্বিতীয় ধাপের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। দ্বিতীয় ধাপ সামরিক দিক থেকে কঠিন হতে চলেছে।”
ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) বলেছে, অধিবাসীদেরকে এমন এক এলাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে যার পরিসর গাজার এক তৃতীয়াংশেরও কম।
এই অধিবাসীদের খাবার, পানি, আশ্রয় এবং সর্বোপরি নিরাপত্তা প্রয়োজন। গাজায় কোনও নিরাপদ জায়গা নেই বলে আবারও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস নজিরবিহীন হামলা চালায়। হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে এবং তাদের অধিকাংশই বেসামরিক বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। ওই দিন প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে হামাস।
হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই প্রায় সবদিক থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গোলা হামলায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৮০০’র বেশি গাজাবাসী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এদের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু।
ইসরায়েল এখন গাজার উত্তর ও দক্ষিণ দুই দিকেই হামলা চালাচ্ছে। গাজার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ঘিরে রেখেছে ইসরায়েল। এই শিবির হামাসের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।