বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিন দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি নতুন কোভিড রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
Published : 27 Oct 2022, 03:42 PM
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে দেখে চীনের কর্তৃপক্ষ মধ্যাঞ্চলের উহান থেকে উত্তরপশ্চিমের শিনিংসহ অনেক শহরে ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
প্রাদুর্ভাবের বিস্তৃতি রোধে ভবনের পর ভবন সিলগালা, একাধিক জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করায় এসব শহরের লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিন দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি নতুন কোভিড রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে চীনের কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের শুরুর দিকে দিনে হাজার হাজার রোগী শনাক্ত হওয়ায় দেশটি গুরুত্বপূর্ণ শহর সাংহাইয়ে কঠোর লকডাউন দিয়েছিল।
এখন সমগ্র চীনে দিনে যত রোগী শনাক্ত হচ্ছে, তা তখনকার মতো না হলেও কর্তৃপক্ষের কাছে এটাই দেশের বিভিন্ন অংশে আরও বিধিনিষেধ আরোপ ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
চীনে এখন পর্যন্ত যত কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, তা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় কম হলেও চলতি বছর করোনাভাইরাসের তুলনামূলক বেশি সংক্রামক ওমিক্রন মোকাবেলায় দেশটি যে হুটহাট অত্যন্ত কঠোর সব ব্যবস্থা নিয়েছে, তা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিকে চাপেও ফেলেছে।
টানা চার সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের পুনরুত্থান দেখা গুয়াংজুতে কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন আরও অনেক সড়ক ও এলাকা সিলগালা করে হাজার হাজার মানুষকে ঘরের বাইরে বের না হতে নির্দেশনা দিয়েছে।
অর্থনৈতিক উৎপাদন বিবেচনায় চীনের চতুর্থ বড় শহর গুয়াংজু গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী।
“আমার অনেক বন্ধু ও সহকর্মী বাড়িতে লকডাউনে আছে। পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল। অনেক এলাকায় লকডাউন। ক্লাস বন্ধ, বিনোদনের স্থানগুলোও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। আমি নিয়মিক যে জিমে যেতাম, সেটাও বন্ধ,” বলেছেন গুয়াংজুর বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী লিলি লি।
সোমবার পর্যন্ত চীনের মোট ২৮টি শহরে লকডাউনের নানামাত্রিক বিধিনিষেধ ছিল, এই অঞ্চলগুলোর মিলিত জনসংখ্যা প্রায় ২০ কোটি ৭৭ লাখ এবং এসব অঞ্চল চীনের জিডিপির প্রায় ২৫ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। এই সংখ্যা চীনের ২০২১ সালের জিডিপির প্রায় এক চতুর্থাংশ।