চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটারের বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ আকিব জাভেদ।
Published : 04 Mar 2025, 09:59 PM
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চরম ব্যর্থতার পর প্রথমবার ঘোষিত দলে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে জায়গা পাননি দুই তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ওয়ানডে দলে নেওয়া হয়নি তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। তাদের সবাইকে মূলত বাদ দেওয়া হয়েছে। তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ আকিব জাভেদ।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টি ও তিন ওয়ানডের জন্য মঙ্গলবার আলাদা দল ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
বাবর ও রিজওয়ানের বাদ পড়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে দলের খেলার ধরন পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন আকিব।
“কাউকে একেবারে বাদ দিতে পারবেন না, তবে এই মুহূর্তে আমরা মনে করি যে, আমাদের নতুন ও তরুণ খেলোয়াড়দের আনা এবং আমরা যে ক্রিকেট খেলছি, তার ধরনে পরিবর্তন দরকার। অনেক দল তাদের টি-টোয়েন্টি দলগুলোকে অন্য সংস্করণ থেকে আলাদা করেছে, ৮০-৯০ শতাংশ পর্যন্ত আলাদা।”
টি-টোয়েন্টিতে অনেক দিন ধরে ছন্দে নেই বাবর। সবশেষ ১১ ইনিংসে নেই কোনো ফিফটি। এই সংস্করণে তার ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়েও প্রশ্ন ওঠে মাঝেমধ্যেই।
বাবরের মতো খারাপ নয় রিজওয়ানের টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্স। সবশেষ ১২ ইনিংসে তার ফিফটি চারটি। তবে এই কিপার-ব্যাটসম্যান পাকাপাকিভাবে অধিনায়ক হওয়ার পর তার নেতৃত্বে পাঁচ টি-টোয়েন্টির একটিও জিততে পারেনি পাকিস্তান। তার জায়গায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়ক করা হয়েছে সালমান আলি আগাকে।
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করতে পারেননি আফ্রিদি। দুই ম্যাচের একটিতে ৬৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। আরেকটিতে ২ উইকেট পেলেও রান দেন ৭৪। একই অবস্থা ছিল আরেক পেসার হারিস রউফেরও। দুজনের কেউ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে জায়গা পাননি।
উন্নতির জন্য এই ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা উচিত বলে মনে করেন আকিব।
“বাবর, শাহিন (আফ্রিদি), রিজের (রিজওয়ান) মতো শীর্ষ খেলোয়াড়রা এত বেশি সফর করে যে, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় থাকে না। এখন তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় আছে। যতক্ষণ না চার দিনের ম্যাচ খেলবেন, ততক্ষণ টেস্ট বা ওয়ানডেতে উন্নতি করতে পারবেন না। এমন হতে পারে না যে, সারা বছর ৭০ শতাংশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেললেন এবং তারপর হঠাৎ করেই টেস্ট বা ওয়ানডে খেলতে নামলেন।”
“খেলোয়াড়দের নিজেদেরকেই এই বিষয়ে ভাবতে হবে, কারণ শেষ পর্যন্ত নিজস্ব খেলার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। আপনি খেলোয়াড়দের জোর করতে পারবেন না... খেলোয়াড়দের কি তাদের নিজেদের দায়িত্ব নেই যে, তারা তাদের খেলা এবং খেলার মান কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তা করবে? আমার কি ত্যাগ স্বীকার করা উচিত, টি-টোয়েন্টি থেকে বিরতি নেওয়া উচিত, চার দিনের বা লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা উচিত, যাতে আমার ফর্ম ফিরে পেতে পারি?”