কায়রো তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও তহবিল চাইবে, বলেছেন তিনি।
Published : 02 Mar 2025, 11:57 PM
ফিলিস্তিনিদের রেখেই গাজা পুনর্গঠনে মিশরের পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে এবং মঙ্গলবারের আরব সম্মেলনেই সেটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাতি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে ভূখন্ডটিকে ওয়াশিয়ংটনের দখলে নিয়ে আসার প্রস্তাব করেছিলেন।
আরব দেশগুলো সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রস্তাবের পাল্টায় মিশর ফিলিস্তিনিদের রেখেই গাজা পুনর্গঠনে পরিকল্পনা বানানোর কাজে হাত দেয়, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রোববার আবদেলাতি জানান, মিশর তাদের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও তহবিল চাইবে। তিনি গাজার পুনর্গঠন, বিশেষ করে অর্থায়নে ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রয়োজনীয়তার কথাও জোর দিয়ে বলেন।
“আরব সম্মেলনে পরিকল্পনাটি গৃহীত হলে আমরা বড় বড় দাতা দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড় আলোচনা শুরু করবো,” ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার দুবরাভকা সুইকার সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেন আবদেলাতি।
মিশরের এ মন্ত্রী জানান, মঙ্গলবারের সম্মেলনের পর ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর জোট ওআইসি-র সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পরিকল্পনাটি কীভাবে উপস্থাপন করা হবে তা নিয়ে আলোচনায় বসবেন।
“আরব সম্মেলনের ফল বিশ্বের কাছে সম্ভব সবচেয়ে সেরা উপায়ে উপস্থাপন নিশ্চিত করবো আমরা,” বলেছেন তিনি।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে হামাসের আপত্তিকে কারণ দেখিয়ে ইসরায়েল রোববার গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের এ পদক্ষেপ নতুন করে উত্তেজনা বাড়াবে।
আবদেলাতি বলেছেন, সবাইকে শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে মানবিক সহায়তাকে ব্যবহার মেনে নেওয়া হবে না।
সোয়া এক বছরের যুদ্ধ শেষে মধ্য-জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তার ছয় সপ্তাহব্যাপী প্রথম ধাপ শনিবার শেষ হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সব চূড়ান্ত করতে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ সম্প্রতি দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনার মধ্যে প্রথম ধাপের মেয়াদ আরও ছয় সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তেল আবিব সেটি মেনে নিলেও হামাস চায়, ১৯ জানুয়ারি চুক্তির শর্ত মেনে নির্দিষ্ট সময়ে দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, তিনিও জানুয়ারিতে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হওয়া দেখতে চান।
“কঠিন, তবে সদিচ্ছা আর রাজনৈতিক দৃঢ়তা থাকলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব,” বলেছেন আবদেলাতি।