হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর গত ২১ অক্টোবর প্রথম মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ প্রবেশ শুরু হয়।
Published : 04 Nov 2023, 10:46 PM
গাজায় পাঠানো ত্রাণ হামাসের হাতে পড়ছে বলে যে শঙ্কা ইসরায়েল প্রকাশ করেছে তাকে দূরে ঠেলে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ডেভিড স্যাটারফিল্ড বলেছেন, সেখানে ‘এমন কোনো প্রমাণ নেই’।
গত ২১ অক্টোবর থেকে মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ প্রবেশ শুরু হয়। যদিও এখনো যা ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। তবে ওই সামন্য ত্রাণই গাজার সশস্ত্র বাহিনী হামাস নিয়ে নিচ্ছে বলে ইসরায়েল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে শনিবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্যাটারফিল্ড। তিনি বলেন, “সেখানে এমন কোনো কিছু পাওয়া যায়নি যাতে মনে হতে পারে হামাস ত্রাণের ট্রাক নিয়ে গেছে’।
গাজায় ত্রাণ হিসেবে খাবার, পানি ও ওষুধ পাঠাতে আপত্তি না থাকলেও জ্বালানি পাঠাতে জোরাল আপত্তি তুলেছিল ইসরায়েল। জ্বালানির অভাবে গাজায় হাসপাতালগুলো একে একে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছিল। গাজায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র কার্যক্রম পরিচালনাও বন্ধ হওয়ার যোগাড় হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে ইউএনআরডব্লিউএ কে পাঠানো জ্বালানি সংস্থাটির ‘ত্রাণের ট্রাক চালাতে, পানি বিশুদ্ধকরণ এবং হাসপাতালগুলোতেই’ ব্যবহার হয়েছে বলেও যোগ করেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।
বলেন, “হামাস গাজা স্ট্রিপে প্রবেশ করা ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে বা ত্রাণ বিতরণে বাধা দিচ্ছে এমন কোনো প্রমাণ সেখানে পাওয়া যায়নি।”
গাজায় জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে সেখানে জ্বালানি পাঠাতে একটি যৌথ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের করা হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। বিমান হামলার পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরে গাজায় স্থল অভিযানও পরিচালনা করছে দেশটি। এ সপ্তাহে উভয় ধরণের হামলার বিস্তারও বেড়েছে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৯,৪৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩২ হাজারের বেশি। ভূমধ্যসাগরের পাড়ের ছোট্ট এই ভূখণ্ডটির প্রায় ২৩ লাখ মানুষের কমবেশি সবারই আজ বেঁচে থাকতে সাহায্য প্রয়োজন।
হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হন ১৫শ’র বেশি মানুষ। এছাড়া, হামাস ইসরায়েল থেকে ২৪২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে মাত্র চারজন জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। বাকিদের ভাগ্যে কি হয়েছে তা এখনো অজানা।
ইসরায়েল বলছে, জিম্মিদের মুক্ত করতেই তারা স্থল অভিযান চালাচ্ছে। আর হামাস বলেছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন জিম্মি প্রাণ হারিয়েছেন।