লাদাখে চীনের সেনাদের সঙ্গে আরও সংঘর্ষের আশঙ্কা ভারতের

হিমালয়ের পশ্চিমের লাদাখ অঞ্চলে ২০২০ সালে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে লড়াইয়ে অন্তত ২৪ সেনা নিহত হয়েছিল।

রয়টার্স
Published : 27 Jan 2023, 03:14 PM
Updated : 27 Jan 2023, 03:14 PM

হিমালয়ের লাদাখ অঞ্চল নিয়ে ভারতীয় পুলিশের নিরাপত্তা মূল্যায়ন বলছে, ওই অঞ্চলের বিতর্কিত সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে আরও সংঘর্ষ হতে পারে।

অঞ্চলটিতে চীন সামরিক অবকাঠামো বাড়াচ্ছে। হিমালয়ের পশ্চিমের লাদাখ অঞ্চলে ২০২০ সালে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে লড়াইয়ে অন্তত ২৪ সেনা নিহত হয়েছিল। পরে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হয়।

গতবছর ডিসেম্বরে হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে আবার নতুন করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। তবে সেবার কারও মৃত্যু হয়নি।

লাদাখ পুলিশ নতুন, গোপন এক গবেষণাপত্রের অংশ হিসাবে অঞ্চলটির পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছে। ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের এক বার্ষিক সম্মেলনে এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। রয়টার্স এই প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করেছে।

এতে বলা হয়, সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে স্থানীয় পুলিশের জোগাড় করা গোয়েন্দা তথ্য এবং কয়েক বছর ধরে ভারত-চীন সামরিক উত্তেজনার ধরনের ভিত্তিতে এই মূল্যায়নপত্র তৈরি করা হয়েছে।

চীনের সেনাবাহিনীর কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, “অভ্যন্তরীন চাপের মুখে… ওই অঞ্চলে চীন এবং তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থে, পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) সামরিক অবকাঠামো তৈরি করেই যাবে এবং সংঘাতও অহরহই ঘটবে।”

“আমরা সংঘাত এবং উত্তেজনার ধরন বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, প্রতি দুই-তিন বছর অন্তর ঘন ঘন এমন পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা ২০১৩-২০১৪ সাল থেকেই বেড়েছে।”

চীনের অংশে পিএলএর ব্যাপক সামরিক অবকাঠামো তৈরির মধ্যে দুই দেশের সেনাবাহিনীই একে অপরের প্রতিক্রিয়া, গোলাবারুদের শক্তি এবং পদাতিক বাহিনী মোতায়েনের সময় পরীক্ষা করছে।

মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে যে, ভারত লাদাখে ধীরে ধীরে চীনের কাছে জমি হারাচ্ছে। লাদাখ সীমান্ত এলাকায় এ মুহূর্তে ভারতের নিরাপত্তারক্ষীরা বেকায়দায় আছে।

সীমান্তের প্রহরা চৌকিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে ভারত। লাদাখ সীমান্তের একটি বড় অংশে এখন নিয়ন্ত্রণ নেই ভারতের। চীন সেই এলাকাগুলো পাহারা দিচ্ছে এবং এই পয়েন্টগুলি তাদের দখলে বলে দাবি করছে।

ফলে ভারতের দখলে থাকা এলাকাগুলো বাফার জোনে পরিণত হচ্ছে। এমনকী, এই জোনগুলোতেও ভারতকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে চীন ধীরে ধীরে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ভারতের জমি গ্রাস করছে।