ইউক্রেইনের গোলার জন্য জাপানের কাছে বিস্ফোরক চায় যুক্তরাষ্ট্র

জাপানের আইনে অন্য দেশের কাছে কামানের গোলাসহ যে কোনো অস্ত্র বা প্রাণঘাতী সরঞ্জাম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2023, 07:50 AM
Updated : 2 June 2023, 07:50 AM

রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেইনকে দ্রুত যুদ্ধাস্ত্র ও গোলাবারুদ দিতে সচেষ্ট যুক্তরাষ্ট্র ১৫৫ মিলিমিটার কামানের গোলার জন্য জাপানের কাছে বিস্ফোরক ট্রাই নাইট্রো টলুইন (টিএনটি) চেয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জাপানের আইনে অন্য দেশের কাছে হাউৎজার কামানের গোলাসহ যে কোনো অস্ত্র বা প্রাণঘাতী সরঞ্জাম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। রাশিয়ার হাত থেকে নিজেদের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলো মুক্ত করতে ইউক্রেইনকে এখন প্রতিদিন শত শত হাউৎজার গোলা ছুড়তে হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী গোলাবারুদের অপর্যাপ্ততার কারণে কিইভের মিত্ররা এখন দেশে দেশে ছুটছেন; এর মধ্যেই তারা জাপানের কাছ থেকে টিএনটি নেওয়ার উপায়ও বের করে ফেলেছেন। 

“যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জাপানের কাছ থেকে বিস্ফোরক কেনার একটা পথ রয়েছে,” বলেছেন এ সংক্রান্ত আলোচনা বিষয়ে জ্ঞাত এক কর্মকর্তা। বিষয়টির সংবেদনশীলতা বিবেচনায় রয়টার্সকে তিনি তার পরিচয় গোপন রাখতে বলেছেন।

পুরোপুরি সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এমন পণ্যের তুলনায় একাধিক কাজে ব্যবহৃত হয় এমন পণ্য বা সরঞ্জাম বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির ওপর বিধিনিষেধ তুলনামূলক কম থাকায় টোকিও এখন এই পথে ওয়াশিংটনকে বিস্ফোরক পাঠানোর কথা ভাবছে।

এই উপায়েই যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক বাহিনীর জন্য প্যানাসনিক টাফবুক ল্যাপটপ কেনে।

আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে আতিথেয়তা দেওয়া টোকিও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে বলেছে, তারা শিল্পখাতে ব্যবহৃত টিএনটি বিক্রিতে অনুমোদন দেবে, কেননা এই ধরনের টিএনটি কেবল ‘সামরিক বাহিনীর কাজেই লাগে না, আরও বিভিন্ন কাজে লাগে’।

যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন গোলাবারুদ কারখানার টিএনটি সরবরাহ চেইনে একটি জাপানি কোম্পানিকে চাইছে, তারপর কারখানায় ১৫৫ মিলিমিটার গোলার খোলসে সরবরাকৃত বিস্ফোরক ভরা হবে, বলেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে টিএনটি রপ্তানির বিষয়ে কোনো জাপানি কোম্পানি এগিয়ে এসেছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি জাপানের বাণিজ্য, শিল্প ও অর্থ মন্ত্রণালয়।

তারা ইমেইলে জানিয়েছে, সামরিক বিধিনিষেধের মধ্যে পড়েনি এমন পণ্যগুলো নিয়মিত রপ্তানি আইনের অধীনে মূল্যায়ন করা হবে, যেখানে সেসব পণ্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করবে কিনা এমনটাসহ ক্রেতার অভিপ্রায় বিবেচনায় নেওয়া হবে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিগ্রহণ, প্রযুক্তি ও লজিস্টিক সংস্থা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র জাপান থেকে টিএনটি কেনার পরিকল্পনা করছে কিনা, রয়টার্সের এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তারা বলেছে, ইউক্রেইনকে তাদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে ওয়াশিংটন।

“জাপানের নেতৃত্ব ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে,” বলেছে তারা।

আরও খবর:

Also Read: রাশিয়ার সীমান্ত শহর ও ২ তেল শোধনাগারে হামলা