ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথম উত্তর কোরিয়াকে এমন তকমা দিল সিউল।
Published : 16 Feb 2023, 05:50 PM
দক্ষিণ কোরিয়া তাদের প্রকাশিত সর্বসাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্রে উত্তর কোরিয়াকে ‘শত্রু’ আখ্যা দিয়েছে।
ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথম উত্তর কোরিয়াকে এমন তকমা দিল সিউল। একইসঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের হাতে অস্ত্র তৈরি উপযোগী প্লুটোনিয়ামের মজুত থাকার খবরও দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
দেশটির প্রকাশিত দ্বিবার্ষিক শ্বেতপত্রে উত্তর কোরিয়ার বাড়তে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার এবং ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ঝলকের পাশাপাশি তাদের গতানুগতিক সামরিক সক্ষমতার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।
২০২২ সালের এই শ্বেতপত্রে দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার শাসকগোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনীকে নতুন করে ‘আমাদের শত্রু’ বলে বর্ণনা করেছে। একই তকমা তারা এর আগে দিয়েছিল ২০১৬ সালে।
উত্তর কোরিয়ার চলমান অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি, সাইবার ও সামরিক উস্কানি এবং সম্প্রতি দেশটি দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘শত্রু’ হিসাবে চিহ্নিত করার প্রেক্ষাপটে সিউল এবার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, “উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন পরিহার না করে অবিরাম সামরিক হুমকি সৃষ্টি করে রেখেছে। এর পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে দেশটির শাসকগোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনী। তারা আমাদের শত্রু।”
এতে আরও বলা হয়, উত্তর কোরিয়া তাদের মজুত বাড়াতে পারমাণবিক চুল্লিতে ব্যবহৃত জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করছে। তাদের হাতে অস্ত্র তৈরি উপযোগী ৭০ কেজি প্লুটোনিয়াম আছে; এর আগে যা ছিল ৫০ কেজি।
উত্তর কোরিয়া কেবল প্লুটোনিয়াম নয়, উচ্চ-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামও হাসিল করেছে। ক্ষুদ্র মডেলের এটম বোমা বানানোর সক্ষমতাও তাদের উল্লেখযোগ্য মাত্রায় আছে। দেশটি একের পর এক পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাও চালিয়ে যাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, “উত্তর কোরিয়ার আরও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সম্ভাবনা বাড়তে থাকায় আমাদের সেনাবাহিনী নজরদারি জোরদার করছে।”
উত্তর কোরিয়া কেবল গতবছরেই ১৫ বার ২০১৮ সালের আন্তঃকোরীয় সামরিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, ডিসেম্বরে বাফার জোনে ড্রোন অনুপ্রবেশ ঘটানোর পাশাপাশি গোলাও ছুড়েছে এবং নভেম্বরে দক্ষিণের ডি-ফ্যাক্টো সমুদ্রসীমা বরাবর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সিউলের শ্বেতপত্রে।