১৩০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারই প্রথম ব্রিটিশ রাজপরিবারের কেউ আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
Published : 02 Jun 2023, 05:47 PM
যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদপত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে বেআইনী আচরণের অভিযোগ এনে করা মামলায় আগামী সপ্তাহেই সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছেন প্রিন্স হ্যারি।
গত ১৩০ বছরের মধ্য ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঊর্ধ্বতন পদে থাকা কোনো সদস্য আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দেয়নি; হ্যারি ওই রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছেন।
মিরর গ্রুপ নিউজপেপারসের (এমজিএন) বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে ব্রিটিশ রাজা চার্লসের ছোট ছেলে হ্যারিকে লন্ডনের হাই কোর্টে সাক্ষ্য দানকারী বক্সে দেখা যাবে।
এই এমজিএন-ই ডেইলি মিরর, সানডে মিরর ও সানডে পিপলের প্রকাশক। হ্যারি ছাড়াও শতাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তি গ্রুপটির বিরুদ্ধে বেআইনী আচরণের অভিযোগ এনেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে ৮ম এডওয়ার্ড ১৮৭০ সালে একটি বিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষী হয়েছিলেন, ২০ বছর পর তিনি একটি কার্ড খেলাকে কেন্দ্র করে হওয়া মানহানির মামলায়ও সাক্ষ্য দেন। তারপর আর কখনো ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঊর্ধ্বতন পদধারী কাউকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে দেখা যায়নি।
এডওয়ার্ড রাজা হওয়ার আগেই ওই সাক্ষ্যগুলো দিয়েছিলেন।
ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারের তালিকায় ৫ নম্বরে থাকা হ্যারি অবশ্য গত ছয় মাস ধরে একাধিকবার পত্রিকার শিরোনামে স্থান করে নিয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের সঙ্গে তার আইনি লড়াই, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ও নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্র তাকে গণমাধ্যমে জায়গা করে দিয়েছে।
আদালতে তার উপস্থিতি ফের বিশ্ব গণমাধ্যমে হ্যারিকে জায়গা করে দেবে এবং মামলাটি নিয়ে জনসাধারণের আগ্রহ বাড়াবে বলেই মনে হচ্ছে।
এমজিএনের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তি মামলা করার পর গত মাস থেকে এ নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে।
অভিযোগকারীরা বলছেন, তাদের সম্বন্ধে তথ্য পেতে এমজিএনের সাংবাদিক বা তাদের দ্বারা নিয়োগকৃত বেসরকারি গোয়েন্দারা ‘বিপুল মাত্রায়’ ফোন হ্যাক ও অন্যান্য বেআইনি কাজ করেছিল।
এমজিএনের ঊর্ধ্বতন সম্পাদক এবং নির্বাহীরাও এসব বেআইনি কার্যকলাপ সম্বন্ধে অবগত ছিল, বলছেন অভিযোগকারীদের আইনজীবীরা।
অন্যদিকে এমজিএন বলছে, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফোন হ্যাক বা বেআইনি কোনো কর্মকাণ্ড সম্বন্ধেই জানতেন না।