অভ্যুত্থানের সমর্থকরা দলের সদরদপ্তর ভবনে আগুন দেয়, পাথর ছুড়ে মারে এবং দপ্তরের বাইরে গাড়িও পোড়ায়।
Published : 28 Jul 2023, 01:42 AM
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্টকে উৎখাতের পর রাজধানীতে ক্ষমতাসীন দলের সদরদপ্তরগুলোতে হামলা করেছে অভ্যুত্থানের সমর্থকরা।
তারা ভবনে আগুন দিয়েছে, পাথর ছুড়ে মেরেছে এবং দপ্তরের বাইরে গড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট গার্ডের সেনা সদস্যদের ঘটানো অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী সমর্থন ঘোষণা করার পর বৃহস্পতিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিকরা সদরদপ্তর ভবন থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখার কথা জানিয়েছেন। অভ্যুত্থানকারী নেতাদের সমর্থনে শত শত মানুষ পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়ে ক্ষমতাসীন দলের দপ্তরের দিকে যায়। পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে।
অভ্যুত্থানের সমর্থকরা সেনাবাহিনীপন্থি সঙ্গীত বাজিয়েছে। কেউ কেউ উড়িয়েছে রাশিয়ার পতাকা। আবার কেউ কেউ ফ্রান্স-বিরোধী স্লোগানও দিয়েছে।
অভ্যুত্থানপন্থিরা ক্ষমতাসীন দলের (পিএনডিএস-তারায়া) বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ না করার অভিযোগ করেছে।
বিবিসি জানায়, বুধবার প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট বাজোমকে রাজধানী নিয়ামেইর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বন্দি করে ফেলে।
ভোর থেকে নানা সূত্রের বরাত দিয়ে সে খবর প্রকাশ পাওয়া শুরু হলে সকালে রাজধানী নিয়ামিতে সড়কে লোকজনকে প্রেসিডেন্টের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা যায়।
ওইদিন সেখানে উপস্থিত বিবিসির একজন প্রতিনিধি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবন ঘিরে প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাদের ভারি অস্ত্র সজ্জিত হয়ে অবস্থান নিতে দেখেন।
প্রেসিডেন্টের পক্ষে সড়কে নামা মানুষের ভিড় ছত্রভঙ্গ করে দিতে অভ্যুত্থানের পক্ষের সেনাদের গুলি চালাতেও দেখা গেছে।
পরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এসে কর্নেল মেজর আমাদু আবদ্রামানে অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিয়ে বলেন, তারা নাইজারের সংবিধান বিলুপ্ত ঘোষণা করছেন। সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাতিল এবং দেশের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণাও দেন।
টেলিভিশনে কর্নেল মেজর আবদ্রামানে যখন অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন সামরিক বাহিনীর পোশাক পরা আরো নয়জন সেনাকর্মকর্তা তাকে ঘিরে দাঁড়িয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “আমরা, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বাহিনী…দেশের বর্তমান সরকার ব্যবস্থার অবসান ঘটনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
“দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুশাসনের অভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।”
তিনি বহির্বিশ্বকে নাইজারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করারও আহ্বান জানান।