১৯ মাস ধরে চলা ইউক্রেইন যুদ্ধে ক্রাইমিয়া থেকে বহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
Published : 14 Jan 2024, 08:05 AM
ক্রাইমিয়ার সেভাস্তপোল বন্দরে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহরের সদরদপ্তরে গত সপ্তাহে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৩ কর্মকর্তাসহ মস্কোর একজন শীর্ষ অ্যাডমিরাল নিহত হয়েছেন বলে ইউক্রেইনের স্পেশাল ফোর্সেস দাবি করেছে।
দেশটি বলছে, ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে আছেন রাশিয়ার নৌবাহিনীর অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহরের কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্তর সকোলভ। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আসলে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও সেভাস্তপোলে মস্কোর নিয়োগ করা কর্তৃপক্ষ ইউক্রেইনের আক্রমণ মোকাবেলায় বাড়তি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে। ১৯ মাস ধরে চলা ইউক্রেইন যুদ্ধে ক্রাইমিয়া থেকে বহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
সকোলভের মৃত্যুর খবর সঠিক হলে সেভাস্তপোল বন্দরে হামলার ঘটনাটি হবে ক্রাইমিয়ায় কিইভের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হামলাগুলোর একটি। ২০১৪ সালে ইউক্রেইনের এই উপদ্বীপটি দখল করে নিজ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় রাশিয়া।
ইউক্রেইনের স্পেশাল ফোর্সেস সোমবার টেলিগ্রাম অ্যাপে বলেছে, রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহরের সদরদপ্তরে চালানো হামলায় নৌবহরের কমান্ডারসহ ৩৪ কর্মকর্তা নিহত হন। আরও ১০৫ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেইনের স্পেশাল ফোর্সেস কীভাবে নিহত ও আহতদের সংখ্যা হিসাব করল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি। দুই পক্ষ প্রায়ই যুদ্ধে শত্রুর ক্ষয়ক্ষতি বাড়িয়ে বলে এবং নিজেদের কী ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে খুব কম তথ্য দেয়।
এই হামলার পর এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, একজন নৌসেনা নিখোঁজ রয়েছেন; পরে জানানো হয়, তিনি নিহত হয়েছেন। ক্রাইমিয়ার এয়ার ডিফেন্স পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছিল তারা।
ইউক্রেইন কৃষ্ণ সাগর ও ক্রাইমিয়ায় হামলা বাড়িয়েছে। হামলায় ড্রোনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করছে তারা। রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহরকে ধ্বংস করতে পারলে তা চলমান যুদ্ধকে দ্রুত শেষের দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করছে কিইভ।
সংবাদসূত্র: রয়টার্স
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)