এ ধরনের ঘটনা সুইডেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলছে বলে মনে করে দেশটির পুলিশ।
Published : 07 Jul 2023, 12:02 AM
কোরআন পোড়ানো নিয়ে গত সপ্তাহে সুইডেনে যে লঙ্কাকাণ্ড হয়েছিল তার জেরে দেশটির সরকার মুসলমানদের এই ধর্মগ্রন্থসহ সব ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার বিচারমন্ত্রী গুনার স্ত্রোমার স্থানীয় পত্রিকা আফতনব্লদেৎ কে বলেন, বিদ্যামান আইন পরিবর্তনের কোনও প্রয়োজন আছে কিনা সেটা বুঝতে সরকার উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখছে।
‘‘চালমান আইনটি ঠিক আছে কিনা বা এটি নিয়ে আমাদের পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন আমাদের নিজেদেরকেই করতে হবে।”
গত সপ্তাহে একজন ইরাকি অভিবাসী সুইডেনের রাজধানী স্টোকহোমের একটি মসজিদের সামনে একটি কোরআন পুড়িয়ে দেন। মুসলিম বিশ্ব থেকে যে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসও এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
সুইডিশ সিকিউরিটি সার্ভিস থেকে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা দেশটিকে অনিরাপদ করে তুলছে।
সুইডিশ পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশ এ বছর বেশ কয়েকটি বিক্ষোভে সমাবেশের আবেদন বাতিল করে দিয়েছিল। কারণ, ওইসব প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যে কোরআন পোড়ানোর বিষয়টিও ছিল।
কিন্তু আদালত পুলিশের ওই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রায় দিয়ে বলেছে, সুইডেনের বাক স্বাধীনতার আইনে এ ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি বৈধ।
সুইডেন হামলাকারীদের কাছে ‘অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা দেশে পরিণত হয়েছে’ বলেও মনে করেন বিচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা আমাদের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেছে বলেই আমরা দেখতে পাচ্ছি।”
এ ঘটনা সুইডেনের যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোতে যোগদানের প্রক্রিয়াকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
কারণ, নেটোর সদস্য দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান বলেছেন, কোরআন পোড়ানো বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তার দেশ সুইডেনের নেটোর সদস্য হওয়ার আবেদনে অনুমোদন দেবে না।
নেটোর নিয়মানুযায়ী, সদস্য রাষ্ট্রেরগুলোর মধ্যে যদি একটি দেশও ভিটো দেয় তবে নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে না।