‘জঙ্গি আস্তানায়’ যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে আগ্রাসন হিসেবেই দেখছে ইরাক সরকার

যুক্তরাষ্ট্র গত মঙ্গলবার ইরাকে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর একাধিক স্থাপনায় হামলা চালানোর কথা জানায় ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2024, 04:49 PM
Updated : 24 Jan 2024, 04:49 PM

ইরাকে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স (পিএমএফ) এর আস্তানা লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালিয়েছে সেটিকে তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের ‘চরম লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি।

গত মঙ্গলবার ইরাকে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর একাধিক স্থাপনায় হামলা চালানোর কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। যে হামলায় আধাসামরিক বাহিনী পিএমএফ তাদের একজন যোদ্ধা নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে, আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন।

ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়াদের নিয়ে পিএমএফ গঠিত হয়েছে। তারা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া সীমান্তবর্তী ইরাকের পশ্চিম আনবার প্রদেশের আল-কাইম এবং মধ্যাঞ্চলের প্রদেশ বাবিলের জুরফ আল-নাসর শহরে তাদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, তারা যে তিনটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছেন সেগুলো কাতাইব হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া এবং অন্যান্য আরো কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটি। সিরিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি বাড়তে থাকা সন্ত্রাসী হামলার ‘সরাসরি জবাব দিতে’ তারা এই হামলা চালিয়েছেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্র যতই জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলার কথা বলুক, ইরাক সরকার তাদের মাটিতে এ হামলাকে ভালোভাবে নেয়নি। ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইয়েহিয়া রাসুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকাণ্ডে ওই অঞ্চলে যুদ্ধ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

“তাদের এ কাজ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, যা বছরের পর বছর ধরে চলা সহযোগিতার সম্পর্ককে ক্ষুন্ন করেছে…বিশেষ করে এমন একটি সময়ে যখন গাজায় আগ্রসনের প্রতিক্রিয়ায় পুরো অঞ্চল জুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।”

ইরাক সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযানকে দেশটির জনগণ এবং ইরাকি ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসন’ হিসেবেই দেখছে বলেও যোগ করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সহায়তাও কামনা করেন।

ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাসেম আল-আরাজি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকাণ্ড ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোনো সহায়তাই করবে না’।