মরোক্কোর ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই হাজারে।
Published : 06 Feb 2024, 08:22 AM
মরক্কোর অ্যাটলাস পর্বতের ছোট্ট গ্রামে স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-বাবাকে নিয়ে বাস করছিলেন ছাগলপালক তায়েব। গত শুক্রবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় মা-বাবা নাকি ছেলেকে, বাঁচাবেন, সেই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে।
তায়েব সাংবাদিকদেরকে নিজ মুখেই জানিয়েছেন তার সেই অভিজ্ঞতার কথা। বলেছেন, ওই মুহূর্তের কঠিন সিদ্ধান্ত এখনও তাকে তাড়া করে ফিরছে।
ঘটনার বর্ণনায় তায়েব বলেন, “সবকিছুই খুব দ্রুত ঘটেছিল। ভূমিকম্প শুরুর সময় আমরা দরজার দিকে ছুটে যাই। বাবা ঘুমাচ্ছিলেন। মাকে চিৎকার করে বাইরে বেরোতে বলি। কিন্তু বাবাকে ফেলে তিনি আসেননি।”
আরেকদিকে ছিলেন তায়েবের স্ত্রী এবং কন্যা। এ অবস্থায় তায়েব আবার ধসে পড়তে থাকা বাড়ির ভেতরের দিকে ছুটে গিয়ে দেখতে পান একদিকে তার মা-বাবা এবং অন্যদিকে ১১ বছরের ছেলে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আটকা পড়েছে।
ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে বাইরে আসার চেষ্টা করছিল ছেলে। ঠিক সে সময়েই জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তায়েবকে। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তিনি। মরিয়া হয়ে ধ্বংস্তূপ সরিয়ে ছেলেকে বের করে আনেন।
এরপরই মা-বাবার দিকে ছুটে যান তায়েব। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। দেয়ালের নিচে চাপা পড়েছিলেন তায়েবের বাবা-মা।
অশ্রুসিক্ত চোখে তায়েব বলেন, “মা, বাবা আর ছেলের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হয়েছে আমাকে। আমি মা-বাবাকে কোনো সাহায্য করতে পরিনি। তাদের দেহের অর্ধেকটাই দেয়ালের নিচে চাপা পড়েছিল। আমি দেখছিলাম মা-বাবা মারা যাচ্ছেন।”
মরোক্কোর ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই হাজারে।
সংবাদসূত্র: বিবিসি।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)