পারমাণবিক বিস্তার-রোধ চুক্তিটি ৫ বছর পরপর স্বাক্ষরকারী ১৯১ দেশ পর্যালোচনা করে।
Published : 27 Aug 2022, 05:46 PM
রাশিয়ার বাধায় পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বিষয়ক যৌথ ঘোষণা গ্রহণ করতে পারেনি জাতিসংঘের এক সম্মেলন।
পরমাণু অস্ত্রের বিস্তৃতি ঠেকানোর লক্ষ্যে হওয়া পারমাণবিক বিস্তার-রোধ চুক্তিটি ৫ বছর পরপর স্বাক্ষরকারী ১৯১ দেশ পর্যালোচনা করে।
রাশিয়া এবার খসড়ার যে লেখা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে, তাতে ইউক্রেইনের পারমাণবিক কেন্দ্র বিশেষ করে জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশে সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ‘উদ্বেগ জানানো হয়েছিল’।
সামরিক কর্মকাণ্ডের কারণে ইউক্রেইনের দক্ষ কর্তৃপক্ষের এসব জায়গার নিয়ন্ত্রণ হারানো এবং এর যে নেতিবাচক প্রভাব খসড়ায় সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছিল।
রাশিয়ার প্রতিনিধি ইগর ভিশনেভেৎস্কি চূড়ান্ত খসড়ার লেখায় ‘ভারসাম্যের’ ঘাটতি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন।
“আমাদের প্রতিনিধিদের কিছু অনুচ্ছেদের বিষয়ে একটাই মূল আপত্তি ছিল, সেসব অনুচ্ছেদ আদতে খোলামেলা রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল,” বলেছেন তিনি।
২০১৫ সালের শেষ পর্যালোচনায়ও অংশগ্রহণকারী দেশগুলো যৌথ ঘোষণা নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিল।
এরপর ২০২০ সালে পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা দুই বছর পিছিয়ে যায়। এবার নিউ ইয়র্কে ৪ সপ্তাহের সম্মেলনের পরও শেষ পর্যন্ত যৌথ ঘোষণায় সব দেশ একমত হতে পারল না।
রাশিয়ার বাধায় সমঝোতা না হওয়ায় ‘গভীর হতাশা’ ব্যক্ত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।
“প্রস্তাবিত ঘোষণা বাকি সব দেশ মেনে নিলেও রাশিয়া আপত্তি জানিয়ে এ সংক্রান্ত অগ্রগতিতে বাধা দিয়েছে,” বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বনি জেনকিনস বলেছেন, সম্মেলনের ফলে তিনি ব্যাপক হতাশ।
“এই হতাশা আরও বেশি কেননা রাশিয়াই আজ আমাদের এখানে নিয়ে এসেছে,” বলেছেন তিনি।
কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা গৃহীত হতে হলে তা সম্মেলনে উপস্থিত সব দেশের সম্মতিতে হতে হয়। শেষ পর্যন্ত কোনো সমঝোতা না হওয়ায় নেদারল্যান্ডস এবং চীনের মতো অনেক দেশও তীব্র হতাশা ব্যক্ত করেছে।
“সেখানে উপযুক্ত আলোচনা হওয়ার মতো বিষয় ছিল, কিন্তু কোনো সমঝোতায় উপনীত হতে না পারাটা খুবই হতাশাজনক,” বলে নেদারল্যান্ডস।