ঋণ সীমা বাড়াতে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি।
বিবিসি জানায়, কয়েক সপ্তাহের তিক্ত আলোচনার পর এই চুক্তিটি এখনও বিভক্ত কংগ্রেসে অনুমোদন পাওয়া জরুরি। আগামী বুধবার কংগ্রেসে এটি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কোনও চুক্তি ছাড়া ৫ জুন নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ফুরিয়ে আসবে। সরকারের জন্য তহবিল সংগ্রহে যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ নিতেই হবে। কারণ, কর আদায়ের তুলনায় সরকারের খরচ বেশি।
ঋণসীমা বাড়ানোর বিনিময়ে রিপাবলিকানরা শিক্ষা এবং অন্যান্য সামাজিক প্রোগ্রামের মতো বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছে।
ঋণসীমা নিয়ে সমঝোতাকে দেশের জনগণের জন্য সুসংবাদ হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে ম্যাকার্থি সতর্ক করে বলেছেন, এ বিষয়ে কংগ্রেসের সমর্থন পাওয়া এখনও বাকী।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নির্ধারিত ঋণের সর্বোচ্চ সীমাই ঋণসীমা। এ সীমা বাড়ানোর শেষ তারিখ আগামী ৫ জুন। এর মধ্যে ঋণসীমা না বাড়লে অথবা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ খেলাপি হতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।