এর আগে পক্ষ দুটির মধ্যে বেশ কয়েকবার সাময়িক অস্ত্রবিরতির চুক্তি হলেও কোনো পক্ষই তা মানেনি।
Published : 25 Apr 2023, 02:15 PM
পশ্চিমা, আরব ও এশিয়ার দেশগুলো তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য যখন দৌঁড়ঝাপ করছে তখন সুদানের লড়াইরত পক্ষগুলো ৭২ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
এই অস্ত্রবিরতি মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে তিন দিন পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) জানিয়েছে, এ যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব মধ্যস্থতা করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন প্রথম এই অস্ত্রবিরতির কথা ঘোষণা করে জানান, দুই দিন ধরে নিবিড় আলোচনার পর এ সমঝোতা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ব্লিনকেন বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র এসএএফ ও আরএসএফকে এ সময়টিতে অবিলম্বে এবং পুরোপুরিভাবে অস্ত্রবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।”
এর আগে পক্ষ দুটির মধ্যে বেশ কয়েকবার অস্থায়ী অস্ত্রবিরতির চুক্তি হলেও কোনো পক্ষই তা মানেনি।
ব্লিনকেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ও সুদানের বেসামরিক পক্ষগুলোকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার বিষয়টি সমন্বয় করবে, যেটি স্থায়ী অস্ত্রবিরতির জন্য কাজ করবে ও মানবিক ব্যবস্থাপনাগুলো দেখভাল করবে।
১৫ এপ্রিল এসএএফ ও দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৪২৭ জন নিহত হয়েছেন। এ লড়াইয়ে রাজধানী খার্তুম ও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় আর হাসপাতাল ও অন্যান্য পরিষেবাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
খার্তুমে আরএসএফ নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তারা মানবিক উদ্যোগগুলো সহজতর করতে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
“সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলাকালে আমরা তা পুরোপুরি মেনে চলবো বলে আমরা আমাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করছি,” বলেছে আরএসএফ।
নিজেদের ফেইসবুক পেইজে এসএএফ জানিয়েছে, তারাও অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
সুদানের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আলোচনায় একটি পক্ষ হিসেবে অংশ নেওয়া সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলোর এক জোট অস্ত্রবিরতির এ খবরকে স্বাগত জানিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় এ অস্ত্রবিরতির ঘোষণা আসার আগে রাজধানী অঞ্চল সংলগ্ন তিনটি শহরের অন্যতম ওমদুরমান বিমান হামলা ও স্থল লড়াই কেঁপে কেঁপে উঠছিল এবং রাজধানী খার্তুমেও সংঘর্ষ চলছিল বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর ঘেঁষে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশের দিকে উঠতে দেখা যায় আর আশপাশে কামানের গোলা ছোড়ার দ্রুম দ্রুম শব্দ ও মেশিনগানের টানা গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার সুদান নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে।
আরও পড়ুন: