নির্বাচনি দৌড় থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সরে যাওয়ার আহ্বান ক্রমেই জোরাল হচ্ছে।
Published : 08 Jul 2024, 08:57 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেকে বিভিন্ন ভাবে যোগ্য প্রমাণের চেষ্টা করলেও ভরসা করতে পারছেন না তার দলের ডেমোক্র্যাটরা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে হারার পর থেকেই বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের উদ্বেগ নানাভাবে চেষ্টা করেও কমাতে পারছেন না।
নির্বাচনি দৌড় থেকে বাইডেনের সরে যাওয়ার আহ্বান ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। বাইডেনের মানসিক ও শারিরীক সক্ষমতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে।
আর এ থেকে তাদের মনে ভিড় করছে নানা প্রশ্ন: বাইডেন থাকলে নাকি না থাকলেই প্রতিপক্ষ ট্রাম্পকে সহজে পরাজিত করা যাবে? নতুন কোনও প্রার্থীকে দাঁড় করানো কি ঝুঁকিপূর্ণ হবে? নাকি পরাজয়ের দিকে এগুতে থাকা একজন প্রেসিডেন্টকেই নির্বাচনী দৌড়ে রেখে দেওয়া ঠিক হবে?
কোন পথে লাভ, আর কোন পথে গেলে ক্ষতি তা নিয়েই এখন হিসাব কষছে ডেমোক্র্যাটরা।
বিবিসি জানায়, গত রোববার মার্কিন পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য হাকিম জেফ্রিস ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন। সেই বৈঠকে বাইডেনের প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিবিসি-র অংশীদার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, ওই বৈঠকে উপস্থিত চারজন বলেছেন, তারা মনে করেন বাইডেনের সরে দাঁড়ানো উচিত। অন্তত আরও তিনজন নভেম্বরের নির্বাচনে বাইডেন জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বেশ কয়েকজন শীর্ষ ডেমোক্র্যাটও সপ্তাহান্তে টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে তাদের মত প্রকাশ করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রার্থিতা থাকা বা না থাকার ঝুঁকি কিংবা লাভের দিকটি খতিয়ে দেখতে বলেছেন তারা।
ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বাইডেনের সমালোচকরা তো বটেই, তার সমর্থকেরাও উদ্বিগ্ন যে, তার বয়সসংক্রান্ত যে জটিলতা দেখা দিচ্ছে তা কাটিয়ে ওঠা সত্যিই কঠিন।
ডেমোক্র্যাটদের কেউ কেউ বলছেন, আগামী নির্বাচনে বাইডেন যদি ট্রাম্পের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আবার অনেকে বলছেন, বাইডেনের পরিবর্তনে যাকে আনা হবে তিনি কেমন করবেন সেটিও জানা নেই। কেউ কেউ আবার মনে করেন, বাইডেনকে সরানো দলের নির্বাচনি যাত্রায় নবসূচনা হবে।
ডেমোক্র্যাটদের উদ্বেগের একটি বড় কারণ হচ্ছে, ট্রাম্প এগিয়ে থাকলে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি ও প্রতিনিধি পরিষদের আসন হারানোর আশঙ্কা আছে।
বাইডেনের বয়স ৮১ আর ট্রাম্পের বয়স ৭৮। উভয় প্রার্থীর বয়স অনেক বেশি হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কিছু ভোটার বাইডেনের ওপর আস্থা হারাচ্ছে।
শুক্রবার প্রকাশিত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে ৮৬ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন, তারা বাইডেনকে সমর্থন করবেন। ফেব্রুয়ারিতে যার সংখ্যা ছিল ৯৩ শতাংশ।