এ দুজন পেহেলগামে মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলায় জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
Published : 25 Apr 2025, 01:57 PM
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার দুই সন্দেহভাজন সদস্য আদিল হোসেন ঠোকের ও আসিফ শেখের বাড়ি বিস্ফোরণে উড়ে গেছে বলে জানিয়েছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম।
এ দুজনই পেহেলগামে মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলায় জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়ি দুটি পৃথক বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়, বলেছে এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বাড়িগুলোর ভেতরে বিস্ফোরক রাখা ছিল।
তবে আনন্দবাজারসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনই এই বাড়ি দুটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে একটি স্বয়ংক্রিয় বিস্ফোরকের সাহায্যে ওড়ানো হয়েছে, অন্যটি গুঁড়ানো হয়েছে বুলডোজারে।
নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক সূত্র আদিলকে মঙ্গলবারের পেহেলগাম হামলার অন্যতম অভিযুক্ত বলছে, তার বাড়ি অনন্তনাগ জেলায়। আর পুলওয়ামার বাসিন্দা আসিফ হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার অনন্তনাগের পুলিশ পেহেলগামে হামলায় জড়িতসন্দেহে যে তিনজনের স্কেচ প্রকাশ করেছে আদিল তার একজন। বাকি দুজনই পাকিস্তানের নাগরিক, বলছে পুলিশ। এদের ধরতে তথ্য চেয়ে ২০ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া নোটিসে পুলিশ হামলাকারী বাকি দুই সন্দেহভাজনের নাম বলেছে- হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই। এরা দুজনও জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ খ্যাত পেহেলগামের বৈসরণে মঙ্গলবারের হামলায় অন্তত ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক লোকজনের ওপর কাশ্মীরে এমন প্রাণঘাতী হামলা আর দেখা যায়নি।
আনন্দবাজার বলছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি বিস্ফোরণের সাহায্যে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটি বুলডোজারে ভেঙে ফেলা হয়।
তবে হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, আসিফ শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় একটি সন্দেহজনক বাক্স পাওয়া যায়। ওই বাক্স থেকে অনেকটা তার বেরিয়েও এসেছিল, ওই তার ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের অংশ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
পরে ঘটনাস্থলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং টিম পৌঁছানোর পর বাক্সটি ঘটনাস্থলেই বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত না হলেও আসিফের বাড়ির একাংশ উড়ে যায়।
হিন্দু ও এনডিটিভির প্রতিবেদনে ই বিস্ফোরণের সাহায্যে আসিফ ও আদিলের বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিহারে এক জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘দুনিয়ার শেষ প্রান্তে গিয়েও হামলাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে’ বলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদিল ও আসিফের বাড়ি ধ্বংস হল।