ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ৮।
Published : 10 Feb 2024, 04:53 PM
আফ্রিকার দেশ মরক্কোর হাই অ্যাটলাস পর্বতমালা অঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যাও বেড়ে ৩২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার রাতের এ ভূমিকম্পে বহু ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের সময় বড় বড় শহরগুলোতে আতঙ্কিত বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে মারাকেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে হাই অ্যাটলাস পর্বতমালায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ৮ এবং এর উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠের ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। মরক্কোর জিওফিজিক্যাল কেন্দ্র জানিয়েছে, হাই অ্যাটলাস পর্বতের ইঘিল এলাকায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি আর এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। মূল ভূমিকম্পের ১৯ মিনিট পর একটি পরাঘাতও হয়।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, পার্বত্য এলাকায় অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে আর সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
নিহতদের সবাই আল-হাওজ, মারাকেশ, ওয়ারজাজাত, আজিলাল, শিশাওয়াহ ও তারউদন্ত প্রদেশের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের নিকটবর্তী বড় শহর মারাকেশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুরনো শহরে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে, এলাকাটি ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। স্থানীয় টেলিভিশনে প্রদর্শিত ছবিতে একটি মসজিদের মিনার ধসে ধ্বংসস্তূপসহ কয়েকটি গাড়ির ওপর পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গাড়িগুলো দুমড়েমুচড়ে গেছে।
শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কে রাজধানী রাবাত ও উপকূলীয় শহর ইমসুয়ানের বাসিন্দারা তড়িঘড়ি করে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসেন। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ইঘিল থেকে রাবাত প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার উত্তরে ও ইমসুয়ান ১৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। ইঘিল থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর কাসাব্লাঙ্কার আতঙ্কিত বাসিন্দারা ওই রাতে আর বাড়িয়ে ফিরেননি, সারা রাত বাইরেই কাটিয়েছেন।
২০০৪ সালে মরক্কোর উত্তরাঞ্চলীয় রিফ পর্বতমালায় আরেকটি প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সংবাদ সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)