পার্লামেন্টের কাছে বাশুরা এলাকার একটি ভবনকে লক্ষ্যস্থল করা হয়। এই ভবনটি হিজবুল্লাহর ইসলামিক স্বাস্থ্য সংস্থার মালিকানাধীন।
Published : 03 Oct 2024, 02:28 PM
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে বৃহস্পতিবার ভোররাতে ইসরায়েলে হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননে স্থল অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের সমর্থনপুষ্ট হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন দেখার পরদিন এ হামলা চালাল দেশটি।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা লেবাননের রাজধানীতে একটি সুনির্দিষ্ট বিমান হামলা চালিয়েছে।
রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা ব্যাপক একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন। বৈরুতের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পার্লামেন্টের কাছে বাশুরা এলাকার একটি ভবনকে লক্ষ্যস্থল করা হয়। এই ভবনটি হিজবুল্লাহর ইসলামিক স্বাস্থ্য সংস্থার মালিকানাধীন।
সিএনএন জানিয়েছে, ২০০৬ সালের পর থেকে বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে এটিই ইসরায়েলের প্রথম হামলা।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। লেবাননের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবন ও এর প্রথম তলায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ছবিটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
লেবাননে জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়ক জেনিন হেনিস-প্লাশকার্ট বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ লিখেছেন, “বৈরুতে আরেকটি নির্ঘুম রাত। শহরকে কাঁপিয়ে দেওয়া বিস্ফোরণগুলো গুণছি। কোনো সতর্কতামূলক সাইরেন নেই। এরপর কী হবে জানিনা। সামনে শুধু অনিশ্চয়তা। সর্বব্যাপী ভয় আর উদ্বেগ।”
লেবাননের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ যেখানে নিহত হয়েছেন বৈরুতের দক্ষিণ অংশের সেই দাহিয়ায় তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে আর জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দক্ষিণ লেবাননের যেসব গ্রামের বাসিন্দারা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন তাদের পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ফিরতে নিষেধ করেছে।
আইডিএফের মুখপাত্র অভিচয় আদ্রে বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছেন, “ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।”
বুধবার দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের চোরাগোপ্তা হামলায় তাদের আট সেনা নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মূলত সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর টানেল ও অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য তারা লেবাননে অনুপ্রবেশ করেছে, বৈরুত বা উত্তর বা দক্ষিণের কোনো গুরুত্বপূর্ণ শহরে বড় ধরনের অভিযান চালানো কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
আরও পড়ুন: