গত বৃহস্পতিবার থেকে নারীস্বাস্থ্য নিয়ে জরিপ শুরু হয়েছে।
Published : 07 Feb 2024, 12:06 PM
স্বাস্থ্য নীতিতে পিরিয়ড, জন্মনিরোধ, প্রজনন সক্ষমতা, গর্ভধারণ এবং মেনোপজ বিষয়ে সবার মতামত নিতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য। দেশটির নারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে এ বিষয়ে কথা বলেন।
মতামত যে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে বছরখানেক আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশটির সরকার। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার থেকে নারীস্বাস্থ্য নিয়ে এই জরিপ শুরু হয়েছে।
দেশটির হেলথ ও সোশাল কেয়ার অধিদপ্তর বলছে, এই জরিপের ফলাফল সরকারি স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি নির্ধারকদের পাঠানো হবে; নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য অভিজ্ঞতাকে নিবিড়ভাবে বুঝতে কাজে লাগানো হবে।
নারী স্বাস্থ্য বিষয়ক দূত অধ্যাপক ড্যাম লেসলি রিগান বলেন, ”সেবা যতই ঢেলে সাজানো হোক, যদি তা কাজে না লাগে তবে এসব অর্থহীন। আর সেজন্যই নারী ও মেয়েদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার কথা বলছি আমরা, সেটা পিরিয়ড, মেনোপজ হতে পারে অথবা হতে পারে এন্ডোমেট্রিওসিস।
”স্বাস্থ্যসেবাকে নতুন করে সাজাতে হলে তাদের বক্তব্য জানা জরুরি, যেন নারীরা তাদের প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসা পায়।”
এই জরিপ ১৬ থেকে ৫৫ বছর বয়সী সব নারীর জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ছয় সপ্তাহ ধরে সবার মতামত সংগ্রহ করবে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন (এলএসএইচটিএম)।
এ প্রতিষ্ঠানের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক রেবেকা ফ্রেঞ্চ বলেন, “বেশিরভাগ নারীর বেলায় প্রথম পিরিয়ড থেকে মেনোপজ মানে মাঝখানে ৪০ বছর কেটেছে। এই সময়ে নারীর নিজের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা হওয়ার কথা। যেমন- কখন তারা সন্তান নেবেন এবং চিকিৎসা সেবা নিতে কোথায় যাবেন।
“নারীরা আগে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে হয়রানির কথা বলেছেন। যেমন গর্ভনিরোধ পিল, গর্ভধারণ চিকিৎসা নিতে গিয়ে সমস্যা হয়েছে। অথবা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায় স্বাস্থ্যসেবাগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই; একাধিকবার যেতে হয়, অ্যাপয়েনমেন্ট পেতে দেরি হয়।”
রেবেকা ফ্রেঞ্চ বলেন, “কী ধরনের সেবা প্রয়োজন এবং কীভাবে এই সেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে তা বোঝার সুযোগ করে দেবে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে এই জরিপ।”
কয়েক দশকের লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার শপথ নিয়েছেন ব্রিটেনের মন্ত্রীরা।প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে জরিপ, চিকিৎসকদের জন্য বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ, আরও বেশি ক্যান্সার শনাক্তের পরীক্ষা এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে সব সেবা পাওয়ার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে সে কারণেই।
২০২১ সালে প্রকাশের কথা থাকলেও গত বছর জুলাই মাসে নারী স্বাস্থ্যনীতি প্রকাশ করে যুক্তরাজ্য।
নারী স্বাস্থ্যনীতি বিষয়ক মন্ত্রী মারিয়া কলফিল্ড বলেন, “নারী ও মেয়েরা তাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে সেরা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগ না শোনার কারণে আমরা সাধারণত এই সেবা দিতে ব্যর্থ হই।
“আমি সব নারীকে বলতে চাই, প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে এই জরিপে দ্রুত অংশ নিন এবং আপনার বক্তব্য পৌঁছে দিন।”
সংবাদসূত্র: গার্ডিয়ান
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)