আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে সাংহাইয়ের সব স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Published : 17 Dec 2022, 10:13 PM
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তারের গতি বেড়ে যাওয়ায় চীনের সর্ববৃহৎ নগরী সাংহাইয়ের বেশিরভাগ স্কুল বন্ধ করে অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানায়, আগামী সোমবার থেকে নার্সারি এবং শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের কার্যক্রমও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সাংহাই এডুকেশন ব্যুরো।
শিক্ষক এবং কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় কয়েকটি স্কুল অবশ্য আগে থেকেই অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।
তবে যেসব শিক্ষার্থী ও শিশুদের স্কুলে বা ডে কেয়ারে না গিয়ে বাসায় থাকার বিকল্প ব্যবস্থা নেই তারা স্কুলের জন্য আবেদন করতে পারবে।
টিকা আবিষ্কারের পর পুরো বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস কে সঙ্গে নিয়েই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় তখনও চীন তাদের শূন্য কোভিড নীতিতে অটুট ছিল। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে কঠোর লকডাউনের বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জনগণকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয় এ মাসের শুরুতে। রাজধানী বেইজিংসহ বড় কয়েকটি নগরীতে ওই জনবিক্ষোভের জেরে চীন সরকার তার কঠোর নীতি থেকে সরে দিয়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করে নেয়।
তারপর থেকে দেশটিতে কোভিড সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে।
যদিও সংখ্যার বিচারে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে চীনে মোট সংক্রমণের হার কমেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত গণহারে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দৈনিক শনাক্ত কম পাওয়া যাচ্ছে। যা প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ করছে না। উল্টো পরীক্ষার কম হওয়ায় কী গতিতে ভাইরাসের বিস্তার ঘটছে সেটা অনুমান করা যাচ্ছে না।
দেশটির হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে জ্বর আক্রান্তদের লাইন দিন দিন লম্বা হচ্ছে। দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
সাংহাইয়ে হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীদের জন্য দুই লাখ ৩০ হাজার শয্যা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানায় বিবিসি।