ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তা এবং দূতরা রাশিয়ার ওপর দীর্ঘমেয়াদে নিষেধাজ্ঞা রেখে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করছেন।
Published : 25 Oct 2024, 06:41 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তিনি মস্কোকে একঘরে করে রাখার পশ্চিমা চেষ্টা ক্ষুন্ন করতে পারেন। এ আশঙ্কায় ইউরোপীয় কূটনীতিকরা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও পোক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ সংক্রান্ত আলোচনা সম্পর্কে জানেন এমন কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ খবর জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তা এবং দূতরা রাশিয়ার ওপর দীর্ঘমেয়াদে নিষেধাজ্ঞা রেখে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করছেন। নিষেধাজ্ঞাগুলো আরও কঠোরভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে সেগুলো আরও পোক্ত করতে চাইছেন তারা,তা ওয়াশিংটন যদি অবস্থান বদলায় তাহলেও।
ইইউ এর এই সব উদ্যোগের মধ্যে আছে- রাশিয়াগামী সন্দেহজনক চালানগুলো শনাক্ত করা এবং আটকে দেওয়া। তাছাড়া, তেলের চালানোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
রাশিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করে রাখা মস্কোর ওপর সবচেয়ে বড় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রতি ছয়মাস পরপর নবায়ন করা বাধ্যতামূলক করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্ট হলে ওয়াশিংটনের অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই ইউরোপ এইসব প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্সির আশঙ্কায় ইউরোপের নীতি নির্ধারকরা ‘অটোনোমাস’ ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তবে তাদেরকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো আরও কঠোরভাবে প্রয়োগও করতে হবে বলে জানিয়েছেন ‘রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউট’ এর টম কাটিঞ্জ।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি নির্বাচিত হলে ইউক্রেইন যুদ্ধ শেষ করবেন কিংবা নাটকীয়ভাবে ইউক্রেইনে সামরিক সহায়তা ধীরগতির করে দেবেন।
ইউক্রেইন যুদ্ধে জিতুক এমনটি চান বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প। বরং উল্টো সংঘাত শুরুর জন্য তিনি ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেই দোষারোপ করেছেন।
ট্রাম্প ২০১৭-২০২১ সালে তার প্রশাসনের সময় নর্ডস্ট্রিম-২ পাইপলাইনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রশংসা করেছিলেন। তবে ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। তাছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দ্রুতই মস্কোর সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করতে চান।