ড্রোন ফুটেজটি গত ১১ মে ধারণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। যেখানে অস্ত্রধারীদের দেখা গেছে সেটা রাফার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র সেন্ট্রাল লজিস্টিকস কম্পাউন্ড।
Published : 15 May 2024, 07:01 PM
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় জাতিসংঘের একটি কম্পাউন্ডের ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইউএন লেখা গাড়ির পাশে বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন। ওই ভিডিওটি প্রকাশ করে জাতিসংঘের কাছে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি করেছে ইসরায়েল।
ওই ড্রোন ফুটেজটি গত ১১ মে ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। যেখানে অস্ত্রধারীদের দেখা গেছে সেটা রাফার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র সেন্ট্রাল লজিস্টিকস কম্পাউন্ড।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আইডিএফ রাফার পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউএনআরডব্লিউএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ভিডিও ফুটেজটি পরীক্ষা করে দেখছে। পরীক্ষার ফলাফল হাতে আসার পর তারা সেটা প্রকাশ করবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকেও ফুটেজটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। রয়টার্স ফুটেজে দেখানো ভবন, খুঁটি (পোল), রেলিং, ছাদের উপরে থাকা ট্যাঙ্ক এবং আশেপাশের গাছপালার সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছে। তবে ভিডিওটি কবে ধারণ করা এবং অস্ত্রধারীদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউএনআরডব্লিউএ এর সঙ্গে হামাসের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সংস্থাটির তীব্র সমালোচনা করে আসছে ইসরায়েল। এমনকি ইসরায়েল দাবি করেছে, গত বছর ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন যে হামলা চালিয়েছে সেখানেও ইউএনআরডব্লিউএ এর কর্মীরা অংশ নিয়েছে।
ইসরায়েলের এই অভিযোগের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দাতা দেশ ইউএনআরডব্লিউএ এর জন্য বরাদ্দ তাদের তহবিল স্থগিত করে দেয়। ইসরায়েলের এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে। এরমধ্যেই নতুন করে আবার একই অভিযোগ তুললো দেশটি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “আইডিএফ ওই ভিডিও ফুটেজ জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছে এবং জাতিসংঘকে ইউএনআরডব্লিউএ এর লজিস্টিক সেন্টারের সঙ্গে হামাসের কি সম্পর্ক এবং কেনো হামাস যোদ্ধারা জাতিসংঘের গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিল তা তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।”
ইসরায়েল এমন একটি সময়ে ইউএনআরডব্লিউএ এর বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পুনরায় তুলেছে যখন গাজায় ত্রাণ প্রবেশ অনেকটাই কমে গেছে। যে জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হচ্ছে এবং দেশটির উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েল বলেছে, তারা গাজায় যতখুশি ত্রাণ প্রবেশ ও বিতরণের অনুমতি দিতে প্রস্তুত আছে। বরং তারা বলছে, জাতিসংঘের নানা ত্রাণ বিতরণ সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গাজায় সঠিকভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে কমে গেছে। তাদের অভিযোগ, গাজা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকার পরও ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ত্রাণ নিয়ে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।