যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান বৈরিতা মোকাবেলায় যুদ্ধপ্রস্তুতি পরীক্ষা করে দেখতে উত্তর কোরিয়া এ সপ্তাহে তাদের সবচেয়ে আধুনিক আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
Published : 21 Dec 2023, 07:42 PM
শত্রুদের আবারও হুঁশিয়ার করলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বললেন, কোনও শত্রু পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে উস্কানি দিলে পিয়ংইয়ং পারমাণবিক হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না।
কিমের এই সতর্কবার্তা বৃহস্পতিবার তুলে ধরেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ।
সংবাদ সংস্থাটি জানায়, সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যুরোর জন্য কাজ করা সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে কিম ওই কথা বলেন। সম্প্রতি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য সেনাদের অভিনন্দন জানান তিনি।
কিম বলেন, এই পরীক্ষাই সশস্ত্র বাহিনীর আনুগত্য এবং বলিষ্ঠ অবস্থানের প্রকাশ ঘটিয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার “আক্রমণাত্মক পাল্টা জবাব পদ্ধতি এবং পারমাণবিক কৌশলের ক্রমবিকাশের পাশাপাশি এই মতবাদও সবিস্তারে স্পষ্টভাবে সামনে এনেছে যে, কোনও শত্রু পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে উস্কানি দিলে ডিপিআরকে (উত্তর কোরিয়া) এমনকি পারমাণবিক হামলা চালাতেও দ্বিধা করে না।”
উত্তর কোরিয়া এ সপ্তাহে বলেছে, তারা গত সোমবার সবচেয়ে আধুনিক আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈরিতা বাড়তে থাকায় তা মোকাবেলার জন্য যুদ্ধপ্রস্তুতির পরীক্ষাস্বরূপ তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র,দক্ষিণ কোরিয়াএবং জাপান বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে এবং পিয়ংইয়ংকে ‘কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই অর্থবহ আলোচনায়’ বসার আহ্বান জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে গত সপ্তাহে একটি বৈঠক হওয়ার পরই উত্তর কোরিয়া আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। উত্তর কোরিয়া থেকে পারমাণবিক হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া যেতে পারে সেই পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।
দুই দেশের এই সখ্যের জবাব ‘আরও আক্রমণাত্মক পাল্টা পদক্ষেপের মাধ্যমে’ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে উত্তর কোরিয়া।
আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উত্তর আমেরিকা মহাদেশে আঘাত হানতে সক্ষম। এবছর উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে পঞ্চমবারের মতো আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা লঙ্ঘন করেছে এবং তাদের এই পদক্ষেপ কোরিয়া উপদ্বীপকে নিরাপত্তাহীন করে তুলবে বলে অভিযোগ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র।