তিন দিন আগে নূহ জেলায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালে শুরু হওয়া দাঙ্গার মধ্যে হামলাটি চালানো হয়।
Published : 03 Aug 2023, 04:45 PM
ভারতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কবলিত হরিয়ানার নূহতে তিন বছরের কন্যাসহ অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন একজন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম। উচ্ছৃঙ্খল জনতা তার গাড়িতে হামলা চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।
সোমবার নূহ জেলায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালে শুরু হওয়া দাঙ্গার মধ্যে হামলাটি চালানো হয় বলে এ নিয়ে দায়ের করা এক মামলার বিবরণে বলা হয়েছে।
প্রাণ বাঁচাতে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম (এসিজেএম) অঞ্জলি জৈন তার কন্যাকে নিয়ে দৌঁড়ে পালান। এ সময় হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ ও গুলি করে বলে মঙ্গলবার নূহ শহর থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে।
হামলার মুখে এই বিচারক, তার কন্যা ও তার এক কর্মী নূহের পুরনো বাসস্ট্যান্ডের একটি ওয়ার্কশপে আশ্রয় নেন। পরে কয়েকজন আইনজীবী এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।
নূহের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের এক কর্মী মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে অজ্ঞাত লোকজনকে আসামী করা হয়েছে।
সহিংসতা শুরু হয়। অনেকে এর জন্য ভাইরাল হওয়া একটি আপত্তিকর ভিডিওকে দায়ী করেছেন। একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা পাথর ছুড়ে শোভাযাত্রায় হামলা চালায়, তখন আড়াই হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী একটি মন্দিরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
দায়ের করা মামলার অভিযোগ বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর প্রায় ১টার দিকে এসিজেএম, তার তিন বছর বয়সী কন্যা ও গানম্যান তাদের ভক্সওয়াগেন গাড়িতে করে শহরের নলহার এলাকার মেডিকেল কলেজে ওষুধ কিনতে যান, ২টার দিকে তারা সেখান থেকে ফেরার সময় দিল্লি-আলওয়ার সড়কে পুরনো বাসস্ট্যান্ডের কাছে প্রায় ১০০-১৫০ জন দাঙ্গাকারী তাদের ওপর হামলা চালায়।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, “দাঙ্গাকারীরা তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। কয়েকটি পাথর গাড়ির পেছনের কাঁচে এসে লাগে, এরই এক পর্যায়ে দাঙ্গাকারীরা ওই এলাকায় গুলি ছুড়তে শুরু করে। আমরা চারজন (চালকসহ) রাস্তার ওপর গাড়ি থেকে নেমে যাই এবং প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড় দেই।
“আমরা পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ওয়ার্কশপে গিয়ে লুকিয়ে থাকি, পরে কয়েকজন আইনজীবী এসে আমাদের উদ্ধার করেন। পরেরদিন আমি গাড়িটির খোঁজে গিয়ে দেখি, দাঙ্গাকারীরা গাড়িটি জ্বালিয়ে দিয়েছে।”
একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নূহে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় দুই নিরাপত্তা রক্ষী ও মসজিদের এক ইমামসহ ছয়জন নিহত হন। পরবর্তী দুই দিনে দাঙ্গা পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম ও হরিয়ানার আরও কয়েকটি জায়গায় ছড়ায়।
আরও খবর: