দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপকূলীয় সাগরে তৈরি হওয়া অভিবাসী সংকটে তাদের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার।
Published : 17 May 2015, 03:40 PM
এই সংকট নিয়ে থাইল্যান্ড সরকারের ডাকে আয়োজিত এক জরুরি সম্মেলনেও দেশটি উপস্থিত থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চালক ও সারেংরা সাগরে ভাসমান নৌকা ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কয়েক হাজার মানুষ পরিত্যক্ত অবস্থায় সাগরে ভাসছে।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড তাদের জলসীমায় অভিবাসীবাহী পরিত্যক্ত এই নৌকাগুলোকে তাদের জলসীমায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ওইসব নৌকা থেকে কোনো রকমে উদ্ধার পাওয়া লোকজন ভাসমান নৌকাগুলোর ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন।
তারা জানিয়েছেন, খাবার নিয়ে লড়াই চলাকালে কাউকে কাউকে সাগরে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে।
এসব নৌকায় ভাসমান নারী-পুরুষদের অধিকাংশই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম। নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে এদের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। এদের নিজেদের নাগরিক বলেও স্বীকার করতে চাচ্ছে না মিয়ানমার।
অন্ততপক্ষে পাঁচটি মানবপাচারকারী নৌকা এক হাজারেরও বেশি অভিবাসী নিয়ে সাগরে ভাসছে বলে ব্যাংকক থেকে জানিয়েছেন বিবিসির প্রতিনিধি জোনাহ ফিশার।
এই মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য থাইল্যান্ড ২৯ মে ১৫টি দেশকে নিয়ে এক আলোচনার আয়োজন করেছে।
এ প্রসঙ্গে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের পরিচালক জাও হতাই জানিয়েছেন, আমন্ত্রণপত্রে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করলে তাদের নেতা সম্মেলনে যাবেন না, কারণ রোহিঙ্গা অভিধাটি তারা স্বীকার করেন না।
তিনি বলেছেন, “আমরা অভিবাসী সমস্যাটি অগ্রাহ্য করছি না, কিন্তু এই সমস্যার উৎস মিয়ানমার, কয়েকজনের এমন অভিযোগ আমরা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছি না।”
“অভিবাসীদের এই করুণ অবস্থা মিয়ানমারের সমস্যা নয়, মানবপাচার রোধে থাইল্যান্ডের দুর্বলতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের ব্যর্থতার কারণেই এ সমস্যার উদ্ভব হয়েছে,” বলেছেন তিনি।