মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে থাইল্যান্ডের ৫০ জনের বেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। থাই পুলিশ প্রধান বৃহস্পতিবার একথা জানান।
Published : 07 May 2015, 10:31 PM
সম্প্রতি মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে থাইল্যান্ডের সংখলা প্রদেশের একটি জঙ্গলে মানব পাচারে ব্যবহৃত কয়েকটি শিবির খুঁজে পায় থাই পুলিশ।
শিবিরগুলোতে থাকা গণকবর থেকে গত এক সপ্তাহে ৩৩টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ওই মৃতদেহগুলো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশিদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচা।
রাজকীয় থাই পুলিশের প্রধান জেনারেল সমিয়ৎ পমপানমুয়াং ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মানব পাচারে জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে আমরা ৫০ জনের বেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করেছি। কারণ, স্থানীয় কমান্ডাররা ভাল করেই জানেন কে কিসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।”
“অতীতে এ সমস্যাটি সমাধানে কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। যা কিছু ঘটেছে গত কয়েক দিনেই ঘটেছে।”
দেশটির কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বছরের পর বছর প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে থাইল্যান্ডে মানব পাচার অবাধে চলেছে। কখনো কখনো থাই কর্তৃপক্ষ এই কুকর্মের সঙ্গী হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার থাই সেনারা ওই এলাকায় আরো একটি পরিত্যক্ত শিবির খুঁজে পেয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় যে শিবিরটি খুঁজে পাওয়া যায় ওই শিবির থেকে এই শিবিরটির দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার।
দ্বিতীয় শিবিরটিতে ছয়টি মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। আর বৃহস্পতিবার খুঁজে পাওয়া শিবিরটির ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে অগভীর একটি গর্তে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচা পুরো দেশ থেকে মানব পাচারে ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে এ ধরণের সবগুলো শিবির ১০ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
মানব পাচার সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ থাইল্যান্ড সরকারের কাছে কর্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ সঙ্কট সৃষ্টির দায় থাইল্যান্ডের নয় বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথের।
“এ সমস্যা বিদেশ থেকে এখানে এসেছে। এজন্য আমরা দায়ী নই। এ সমস্যা সমাধানে অবশ্যই আমাদের এর উৎসের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, খুব সম্ভবত পাচারকারীরা থাইল্যান্ড হয়ে অন্যান্য দেশে মানব পাচার করে।”