গ্রিস উপকূলে ৪৬৬ যাত্রী নিয়ে পুড়ল ফেরি

গ্রিস থেকে ইতালি যাওয়ার পথে গ্রিস উপকূলের অদূরে একটি ফেরিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, যাতে ৪৬৬ জন যাত্রী ও নাবিক রয়েছেন।

রোববার স্থানীয় সময় ভোর ছয়টার কিছু আগে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ফেরির সব যাত্রী ও ক্রু’কে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ফেরির ক্যাপ্টেন। যাত্রীদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তবে তীব্র বাতাসের কারণে উদ্ধার কাজ সহজ হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

ফেরিটি পশ্চিম গ্রিসের পাত্রাস থেকে পূর্ব ইতালির অ্যানকোনা শহরে যাচ্ছিল।

আগুন লাগার পর গ্রিসের টেলিভিশন স্টেশনে ফোন করে যাত্রীরা ফেরি পরিস্থিতি সম্পর্কে নাটকীয় বর্ণনা দেন।

“তারা কয়েকটি নৌকা নামানোর চেষ্টা করছে, তবে এগুলোতে আমাদের সবার জায়গা হবে না। তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই,” বলেছেন এক যাত্রী।

“বাইরে অন্ধকার, জাহাজের নিচে আগুন লেগেছে। আমরা জাহাজের ব্রিজে আছি, আমাদের দিকে নৌকা এগিয়ে আসতে দেখছি আমরা। কয়েকটি বাক্স খুলে কিছু লাইফ জ্যাকেট পেয়েছি, আমারা আমাদের রক্ষার চেষ্টা করছি,” বলেন তিনি।

আগুনে কোনো যাত্রী আহত হয়েছেন কিনা বা কোনো যাত্রী পানিতে ঝাঁপ দিয়েছেন কিনা তা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রবল শীতের কারণে উদ্ধার কাজের বিলম্বে পানিতে কেউ থাকলে তার মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নরম্যান আটলান্টিক নামের ফেরিটিতে ২২২টি গাড়ি, ৪১১ জন যাত্রী ও ৫৫ জন ক্রু ছিলেন।

গ্রিস কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেরিটি নিচের ডেকে লাগা আগুনের বিপদ বার্তা পাঠানোর সময় এটি গ্রিসের কর্ফু দ্বীপ থেকে ৪৪ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল।

ফেরিটি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী একটি নৌকা থেকে ১৩০ জন যাত্রীকে একটি কন্টেইনার শিপে তোলা হয়েছে। ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডের সময় শিপটি কাছেই ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

উদ্ধার অভিযানে গ্রিসের পাশাপাশি ইতালি ও আলবেনীয় কর্তৃপক্ষও অংশগ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধার কাজ চালানো কঠিন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

ফেরিটির আশপাশে থাকা আরো সাতটি জাহাজ উদ্ধারকাজে সহয়তা করছে, এছাড়া উদ্ধারকারী কয়েকটি হেলিকপ্টার ও একটি তল্লাশি ও উদ্ধারকাজে সহায়তাকারী একটি সি-১৩০ বিমান ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।