রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র।নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে রাশিয়ার জ্বালানি, ব্যাংকিং এবং প্রতিরক্ষা খাত।
Published : 30 Jul 2014, 05:04 PM
পূর্ব ইউক্রেইনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি মস্কোর সমর্থনের কারণে এ নিষেধাজ্ঞাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নেয়া সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা।
মস্কো এবং পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বড় সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে এ নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ। মালয়েশিয়ার এমএইচ১৭ ফ্লাইট বিধ্বস্তের মধ্য দিয়ে যে সম্পর্কের নাটকীয় অবনতি ঘটেছে।
রুশপন্থি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাতে গত ১৭ জুলাই ২৯৮ আরোহী নিয়ে বিমানটি ভূপাতিত হয়। রাশিয়ার সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর।
“রাশিয়া বর্তমান পথে চলতে থাকলে মস্কোকে মূল্য দিয়েই যেতে হবে”। ওয়াশিংটনে একথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তিনি বলেন, “ইউক্রেইনে রাশিয়ার ভূমিকা এবং এর কারণে তাদের ওপর আমরা ইতোমধ্যেই যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছি তাতে রাশিয়ার দুর্বল অর্থনীতি আরো দুর্বল হয়েছে।”
ব্রাসেলসে ইইউ এর কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূতরা রাশিয়ার তেল এবং প্রতিরক্ষা খাতের সরঞ্জামের বাণিজ্যের ওপর বাধা নিষেধ আরোপে রাজি হয়েছে। এছাড়া, প্রধান কয়েকটি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ব্যাংকগুলোর জন্য ইইউ এর পুঁজি বাজার বন্ধ করে দেয়া। তিনমাস পদক্ষেপগুলো নিয়ে পুনপর্যালোচনা চলবে।
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক থাকার কারণে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে অনিচ্ছুক জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলও ইউক্রেইনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা অবশ্যম্ভাবী বলে মন্তব্য করেছেন।
এর আগে ইউক্রেইন থেকে ক্রিমিয়ার বিচ্ছিন্নতার পর এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাশিয়ার কেবল কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইউরোপ।
কিন্তু রাশিয়ার কোনো খাত বিশেষ করে সবচে বড় জ্বালানি কোম্পারি মতো গুরুত্বপূর্র্ণ কোনো প্রতিষ্ঠান সে সময় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েনি। কিন্তু এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিতভাবে রাশিয়ার ওপর ব্যাপক পরিসরে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ইইউ।