দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ৪৬২ আরোহী নিয়ে একটি ফেরি ডুবে গেছে। এতে ৪ জন নিহত এবং ২৮৪ জন নিখোঁজ হয়েছে। এ পর্যন্ত উদ্ধার করা গেছে মাত্র ১৭৪ জনকে।
Published : 16 Apr 2014, 10:13 AM
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেরিটি পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর ইনচিওন থেকে রওনা হয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাচ্ছিল। রওনা দিয়ে ২০ কিলোমিটার অগ্রসর হওয়ার পর বাইউঙ্গপুঙ দ্বীপের উপকূলে ফেরিটি ডুবে যায়।
কোরিয়ার বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘সেওল’ নামক এ ফেরিটিতে ছিল ৪৬২ জন মানুষ ছিল। যাত্রীদের অধিকাংশ যাত্রীই স্কুল শিক্ষার্থী।
দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা ও লোকপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর আগে ৩৬৮ জনকে উদ্ধারের কথা জানালেও উপকূলীয় কর্মকর্তারা পরে এ পর্যন্ত ১৭৪ জন উদ্ধার পাওয়ার খবর জানিয়েছেন। রাতের অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে সময় যেতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বাকীদের উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহত খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফেরিটি উদ্ধারে বড় ধরনের অভিযানে নেমেছে ৫০টিরও বেশি জাহাজ ও হেলিকপ্টার।
ছবিতে দেখা গেছে, ফেরিটি আস্তে আস্তে কাত হয়ে ডুবে যাচ্ছে। বিপদ সঙ্কেত পাঠানোর দু’ ঘণ্টার মধ্যে ফেরিটি ডুবে যায়। এসময় যাত্রীদের অনেকেই অনেকে সাগরে লাফিয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, ফেরির ভেতরেও অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে মনে করছে তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ফেরি দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
কি কারণে ফেরিটি ডুবে গেল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ডুবন্ত ফেরির মধ্য থেকে একটি লাশ উদ্ধার করার কথা জানায় উপকূলরক্ষীরা। আরেকজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ফেরি দুর্ঘটনাস্থলটিতে কোনো প্রবাল কিংবা পাথর নেই বলে জানিয়েছে উদ্ধার অভিযানে নিয়েজিত এক কর্মী। তাছাড়া, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া ভাল ছিল এবং সাগরও শান্ত ছিল। তারপরও এ দুর্ঘটনা ঘটার কারণ হিসাবে ফেরিটির যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি থেকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।