তীব্র সমালোচনার পর রাহুল গান্ধীর দাবি মেনে দাগি সংসদ সদস্য ও বিধায়কদের বাঁচানোর অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।
Published : 03 Oct 2013, 09:22 AM
এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনের জন্য যে বিল পার্লামেন্টে তোলা হয়েছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে কংগ্রেসের সহ- সভাপতি রাহুল গান্ধীর বৈঠকের পর কংগ্রেস কোর গ্রুপের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কেন্দ্রীয় সরকার ওই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করে নেবে। এরপর মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস হয় ওই সিদ্ধান্ত।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে মনমোহনের বৈঠকের আগে দাগি সংসদ সদস্য-বিধায়কদের বাঁচানোর এ অধ্যাদেশ নিয়ে সোচ্চার হন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, ওই অধ্যাদেশ যাচ্ছেতাই। সেটিকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলা উচিৎ৷
মনমোহনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের মধ্যে রাহুলের ওই মন্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করে। ক্ষুব্ধ হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও।
তবে বুধবার মনমোহনের সঙ্গে বৈঠকে রাহুল তাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী বা তার পদকে অসম্মান করা তার উদ্দেশ্য নয়। জনগণের ক্ষোভের কথাটিই তিনি কেবল তুলে ধরেছেন।
অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খোলার সময়টি যে ঠিক ছিল না- মনমোহনের কাছে তা স্বীকার করে নেন রাহুল। পাশাপাশি চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর কাজের প্রশংসাও তিনি।
রাহুল গান্ধীর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়েই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কংগ্রেস কোর গ্রুপের বৈঠকে বিষয়টি পাস করিয়ে আনেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার শুদ্ধিকরণে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক দুটি রায় ঠেকাতে মনমোহন সিং সরকার তড়িঘড়ি অধ্যাদেশ পাস করায়।
সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে বলা হয়, দোষী সাব্যস্ত হলে এমপি ও এমএলএ-দের আইনসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে৷
কোনো সাংসদ বা বিধায়ক যদি ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন এবং দুই বছরের বেশি সাজা হয়, তাহলে তার আইনসভার সদস্যপদও খারিজ হয়ে যাবে৷ জেলে বসেও তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না৷
এ নিয়ে অধ্যাদেশ পাস করে মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভা পড়ে মহাবিপাকে৷ বিষয়টি নিয়ে ঘরে বাইরে বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও রাহুল গান্ধীর মতো কংগ্রেসের শীর্ষব্যক্তিরাও এর অর্ডিন্যান্সের তীব্র সমালোচনা করেন৷