অস্ট্রেলিয়ায় ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় সিডনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষকে বাড়িঘর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
Published : 04 Jul 2022, 12:26 AM
বিবিসি জানায়, বন্যার পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় কয়েকটি অঞ্চলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু সিডনির পশ্চিমাঞ্চলেই অন্তত ১৮টি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
সামনে আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে একই নির্দেশ জারি হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের জরুরি সেবা বিষয়ক মন্ত্রী স্টেফানি কুক বলেন, ‘‘এটা জীবননাশের আশঙ্কা আছে এমন জরুরি অবস্থা।” সিডনির এই এলাকাতেই গত মার্চে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
রোববার এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী কুক আরো বলেন, ‘‘আমাদের এখন আকস্মিক বন্যা, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে বন্যা এবং উপকূলে ভাঙনের মত নানামুখী বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে।”
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রোববার দেশের কোথাও কোথাও ৩৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। যার ফলে নিপিয়ান নদীর দুই কূলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাতে সিডনির প্রধান বাঁধ উপচে পড়তে পারে। যা কর্তৃপক্ষের জন্য নতুন মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রী কুক বলেন, ‘‘এখন যে পরিস্থিতি তাতে লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে।” একইসঙ্গে তিনি জনগণকে ‘শর্ট নোটিসে’ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
বলেন, ‘‘জরুরি সেবা অধিদপ্তর থেকে দিনে কয়েকবার বন্যার বিষয়ে সতর্কবার্তা এবং নানা পরামর্শ প্রচার করলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে লোকজন তা অনুসরণ করছে না।
‘‘আমি বিনীতভাবে আপনাদের বলছি, এই সময়ে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।” পরামাতা নদীতে কায়াকিং করতে গিয়ে নদীতে পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর তিনি ভ্রমণের বিষয়ে এই সতর্কবার্তা জারি করেন বলে জানায় বিবিসি।
পানিতে ডুবে যাওয়ার সময় জরুরি বিভাগের কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। জলবায়ু পরিবর্তন এবং লা নিনার কারণে বন্যা পরিস্থিতির এত চরম অবনতি হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।